ভগৎ সিং থেকে গণিতজ্ঞ রামানুজন, বিরাট কোহলি থেকে এসআরকে–সকলের অবয়ব তিনি তৈরি করেছেন শুধুমাত্র পাতা কেটে।সে অর্থে নেই পেশাগত তালিম। নিজের ইচ্ছে, শিক্ষকের থেকে শিখে তৈরি করেন এই পাতা কেটে শিল্প। শৈল্পিক কর্মকাণ্ডে গর্বিত তার মা থেকে গ্রামের সকলে। প্রথাগত তালিম না থাকলেও তা এই শিল্প ভাবনা এবং কঠোর অধ্যবসায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। বাড়িতে মা ছেলের সংসার। সারাদিন কিছুটা চাপ থাকলেও পড়ার পর নিজের চাপ মুক্তি দিতে ভরসা তার এই হাতে বানান ছুরি আর কয়েকটা পাতা। এতেই চলে তার অবসর যাপন।
advertisement
গৃহ শিক্ষক সঞ্জয় পয়ড়্যার পত্র শিল্প এবং পত্র প্রতিকৃতি দেখে নিজেও চেষ্টা করা শুরু করে দশম শ্রেণীর এই ছাত্র। পড়ার অবসরে তাই গাছের পাতা এনে তাকে শুকিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানুষের মুখ, ভারতের পতাকা, ওয়ার্ল্ড কাপের রেপ্লিকা তৈরি করার চেষ্টা করে। তবে সেভাবে সম্মুখ ধারণা না থাকার কারণে, সামান্য ব্লেড নিয়ে তাকে ভেঙে পেনের এক প্রান্তে তাকে চিঠিয়ে বানিয়ে ফেলেছে সার্জিক্যাল নাইফ। সেভাবেই প্রায় দশেরও বেশি পত্র প্রতিকৃতি তৈরি করেছে সে। শিক্ষকের দেখে অনুপ্রাণিত এই ছাত্র আগামীতে পত্র শিল্প নিয়ে এগোতে চায়।
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার বামনদা এলাকার দশম শ্রেণীর ছাত্র অহংজিৎ ঘোষ। সে স্থানীয় মধুসূদন বিদ্যাপীঠের দশম শ্রেণীর ছাত্র। ছোট থেকেই তালিম ছিল না ছবি আঁকায়। নিজের ইচ্ছেতেই ছবি আঁকত সে। তবে পরবর্তীতে, টিউশন পড়ার সুবাদে শিক্ষকের দেখেই তার এই পত্রশিল্পে প্রেরণা জাগে। সেই মত নিজের বাড়িতেই চেষ্টা করে সে। তার এই শিল্প প্রতিভার প্রশংসা করেছেন তার মা। আগামীতে পত্র শিল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় দশম শ্রেণীর এই ছাত্র।