বাসমতী চাল রফতানির ক্ষেত্রে ভারত বৃহত্তম দেশ। ভারতের বার্ষিক আয় ৬.৮ বিলিয়ন ডলার। সেখানে পাকিস্তানের বার্ষিক আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার। ইদানিং পাকিস্তান চাল রফতানি বাড়িয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পাক প্রশাসনের উপার্জনের একটা বড় ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে এই রফতানি। কিন্ত ভারত যদি এই ট্যাগ পায় তাহলে বিদেশের বাজারে প্রমাণিত হবে ভালো মানের বাসমতী আমাদের দেশ উৎপাদন করে। এই ভয়ে ঘুম আসছে না পাক প্রশাসনের!
advertisement
তবে ভারত কিন্তু এমনটা দাবি করেনি যে একমাত্র এখানেই বাসমতী চাল উৎপাদন হয়। কেন্দ্রের দাবি ট্যাগ পাওয়া গেলে ধানের উৎপাদন দিকে মনোনিবেশ করা যাবে। ফলে আরও ভালো মানের বাসমতীর চাষ করা যাবে। প্রোটেকটেড জিওগ্রাফিকাল ইনডিকেশন বা পিজিআই ট্যাগ হল এমন একটি স্বীকৃতি যা দ্বারা একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের ও সেখানকার কারিগরদের উন্নতি হয়। যেমনটা কলকাতার রসগোল্লা বা বেনারসের শাড়ির ক্ষেত্রে হয়েছে। নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের বৈশিষ্ট্যযুক্ত সামগ্রীর ক্ষেত্রে এই ট্যাগের দাবি করা যায়।
বাসমতীর আক্ষরিক অর্থ 'সুগন্ধি'। এই ধান ভারত এবং পাকিস্তানে চাষ হয়। এই ধান হিমালয়ের পাদদেশের অঞ্চলগুলি যেমন, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং জম্মু ও কাশ্মীরে চাষ হয়। প্রাচীন ভারতে বাসমতীর চাষ হয়েছে বলে ইতিহাস দাবি করে। এছাড়াও অ্যারোমেটিক রাইসেস (Aromatic Rices) নামে একটি বইয়ে লেখা হয়েছে মহেঞ্জোদড়ো সভ্যতার খননের সময় এই চালের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। ফলে এই ধানের উৎপত্তি যে প্রাচীন ভারতেই, তাতে সন্দেহ থাকছে না।