নিয়মিত ফ্লসিং:
দাঁত মাজার পর ফ্লসিং করতে হয়। যা গভীরে গিয়ে কাজ করে। আসলে দাঁতের যেখানে টুথব্রাশ পৌঁছতে পারে না, সেখানে খাবার জমে প্লাক তৈরি হয়। জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া। এর জেরে দাঁত ক্ষয়ে যেতে থাকে আর মাড়ির সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্ত জায়গায় আলতো করে ফ্লসিং করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে মাড়ির রোগ এবং ক্যাভিটির আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন– সাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় দুর্যোগের পূর্বাভাস !
মাউথওয়াশ:
মাউথওয়াশ বা মুখ ধোওয়ার বিষয়টা ছোটখাটো মনে হতে পারে। কিন্তু এর ক্ষমতা অত্যন্ত গভীর আর শক্তিশালী। ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমোতে যাওয়ার পরে দিনে অন্তত ২ বার দাঁত মাজা আবশ্যক। এতে দাঁত পরিষ্কার থাকে আর দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। তাই ফ্লুওরাইড মাউথওয়াশ এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। কারণ এটি প্লাক সৃষ্টিকারী উপাদানকে নষ্ট করে দিতে পারে। আর যেখানে ব্রাশ এবং ফ্লস পৌঁছতে পারে না, সেখানে অনায়াসে পৌঁছে যেতে পারে মাউথওয়াশ। তবে ব্রাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই নয়, বরং কিছুটা পরে এটি ব্যবহার করা উচিত।
নিয়মিত দাঁতের চেক-আপ:
দাঁতের যত্ন নিলেও কিংবা রুটিন মেনে চললেও দাঁতের চেক-আপ করানোর জন্য নিয়মিত চিকিৎসক বা ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হবে। দাঁতের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সমস্যা পরীক্ষা করতে পারেন ডেন্টিস্টরা। এমনিতে তো ৬ মাসের ব্যবধানে দাঁতের চেক-আপ করানো উচিত। তবে সেটা সম্ভব না হলেও দাঁতে কোনও সমস্যা বা ব্যথা না থাকলেও বছরে অন্তত ২ বার দাঁতের পরীক্ষা করানো আবশ্যক। স্ক্যান করে দাঁতের গভীরে জমে থাকা উপাদান পরিষ্কার করে দিতে পারবেন তাঁরাই।
ডায়েট:
আমরা যা যা খাই, তার উপরেই নির্ভর করে আমাদের মুখের হাসি। চিনির কারণে বাড়ে ব্যাকটেরিয়া এবং এনামেলকে নরম করে দেয় অ্যাসিড। বড় বড় মিলের তুলনায় বারবার স্ন্যাকস খাবার খাওয়ার অভ্যাস বিপদ ডেকে আনে। অন্যদিকে, কাঁচা শাকসবজি চিবানোর সময় পরিষ্কার হয়ে যায়। আবার খাবারের টুকরোগুলিকে সাফসুতরো করে দেয় জল এবং লালা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফল এবং গ্রেন মাড়ির স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়ক।
