সাধারণত রাতেই এই সমস্যা দেখা দিত। তিনি ডাক্তারের কাছে যান সমস্যা নিয়ে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সুধীর কুমার তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন চোখের সমস্যার সূত্রপাত সেদিন থেকে যখন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন সন্তানের দেখাশোনা করবেন বলে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন বিউটিশিয়ান মঞ্জু।
আরও পড়ুন : ধ্বংসস্তূপের নীচে রয়ে গেল কিশোরী মেয়ে, হতভাগ্য বাবার কাছে আজ শুধুই তার প্রাণহীন হাতের ছোঁয়া
advertisement
এর পর বাড়িতে থাকার সময় বেড়ে গেল তাঁর। গ্রাস করল মোবাইল ফোন দেখার অভ্যাস। দিনের বেলা তো বটেই। রাতে বিছানায় চলে যাওয়ার পর অন্ধকারে মোবাইল দেখতেন তিনি। মোবাইল আসক্তি থেকে তিনি স্মার্টফোন ভিশন সিন্ড্রোমের শিকার হন। দীর্ঘ দিন ধরে অতিরিক্ত সময়ের জন্য স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাবলেটের মতো ডিভাইসের স্ক্রিনে চোখ রাখলে আক্রান্ত হতে পারেন স্মার্টফোন ভিশন সিন্ড্রোম বা এসভিএস-এ। একে ডিজিটাল ভিশন সিন্ড্রোম বা কম্পিউটার ভিশন সিন্ড্রোম বা সিভিএস-ও বলা হয়।
মঞ্জুর ক্ষেত্রে এই সমস্যায় ডাক্তার আলাদা করে কোনও ওষুধ দেননি। তবে মঞ্জুকে বলা হয়েছে একান্ত দরকার না হলে ডিজিটাল স্ক্রিনে চোখ না রাখতে । ডাক্তারের কথা শুনে মঞ্জু ধীরে ধীরে তাঁর স্মার্টফোন আসক্তি কমিয়ে ফেলেন। এর পর দেড় বছর সময় লাগে তাঁর স্বাভাবিক পূর্ণদৃষ্টি ফিরে পেতে।