ম্যালওয়ার কয়েক ধরনের হয়। যেমন র্যানসমওয়ার, স্কেয়ারওয়ার, স্পাইওয়ার, ট্রোজান, অ্যাডওয়ার ইত্যাদি। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “ইদানীং সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে টোপ দিচ্ছে সাইবার প্রতারকেরা। সঙ্গে বিভিন্ন পাইরেটেড সফটওয়্যার তারা তুলে ধরছে। না জেনে অনেকেই সেগুলি নিজের মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে ইনস্টল করছেন। যার ফলে অতি সহজেই মোবাইল কিংবা কম্পিউটার সহজেই দখল নিচ্ছে হ্যাকাররা। অনেক সময় বিজ্ঞাপন ভেসে ওঠে ‘আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটার কী স্লো হয়ে গেছে?’
advertisement
সেটাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে গেলে কি করতে হবে? তারাই ইউটিউবে নির্দিষ্ট লিংক জানিয়ে সমাধান সূত্র বলে দেয়। সেই নির্দেশ মানলেই হ্যাকাররা দখল করছে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার। বারে বারে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে বারণ করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এই ভাবে কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের মধ্যে ঢুকে গিয়ে তারা হার্ডডিস্কে থাকা সমস্ত কিছু নিজেদের দখলে নিয়ে নিচ্ছে। অনেক সময় সেখানকার গোপন জিনিসপত্র নিয়ে রীতি মতো ব্ল্যাকমেল করছে এবং টাকা নিচ্ছে। এই ম্যালওয়ারের জন্য সর্বস্বান্ত হচ্ছে প্রচুর মানুষ। শুধু তাই নয়, হঠাৎ করে স্ক্রিনে ভেসে ওঠা কোন প্রতিযোগিতা থেকে আরম্ভ করে কুইজ কিংবা সমাধানের কিছু আপনি ইনস্টল করবেন কি না? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অচেনা কোনো প্রলোভন বা লিংকে ক্লিক না করতে। তাদের প্রলোভনে পড়লেই আপনার সিস্টেম সম্পূর্ণ তাদের হাতে চলে যাবে।