শ্বেতির কথা হচ্ছে। রোগটি মারণ নয়, ঘাতকও নয়। তবে একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা ক্রমে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়ে। আর এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়াও নিজের হাতে নেই কেননা এটি একটি অটোইমিউন ডিজিজ।
তবে এমন কিছু উপায় আছে যা অবলম্বন করলে এই সংক্রমণকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। এমনটাই বলছেন পৃথিবী বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ লুই কুটিনো। চোখ বোলানো যাক সেই সব তরিকায় যা আটকে দিতে পারে এই রোগের সংক্রমণ।
advertisement
কুটিনোর কথায়, বেশির ভাগ শ্বেতির ক্ষেত্রেই মূল দায় থাকে পেটের সমস্যার। হজমের সমস্যা ঠিক না হলে কখনও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না শ্বেতি। কাজেই সহজপাচ্য খাবার অভ্যাস করুন। হজমের গোলমাল রুখতে সময় মতো খাবার খান। শ্বেতির সমস্যা ক্রমে বাড়ার মূল কারণ হিসেবে স্ট্রেসকেই চিহ্নিত করছেন অনেক চিকিৎসক। স্ট্রেস থেকেই জন্ম হজমের গোলমালের। আর তাই এর রোগের পক্ষে ঘাতক।
হলুদের গুঁড়ো এবং সরষের তেল শ্বেতির ক্ষেত্রে উপশমের কাজ করে। পনেরো থেকে কুড়ি দিন প্রতিদিন শ্বেতির জায়গায় লাগালে ফল মিলবে।
চিকিৎসকদের মত, ডায়েটে যেন অবশ্যই ভিটামিন-বি ভিটামিন-সি এবং প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। দইও ডায়েটে রাখতে হবে যথেষ্ট পরিমাণে।
ডায়েট থেকে অবশ্যই বাদ দিতে হবে কফি, ডার্ক চকোলেট , ময়দা , দুধ জাতীয় খাবার। এই খাবারগুলি শ্বেতির সমস্যায় ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। সমস্যা হতে পারে অন্য খাবারের ক্ষেত্রেও। সেক্ষেত্রে সেই খাবারটিকে চিহ্নিত করে খাদ্য তালিকা থেকে দূর করতে হবে।
বেশি করে পেপে ও বাদাম খান। শ্বেতি রয়েছে এমন জায়গায় পেপে লাগিয়ে কাজ হতে পারে, মনে করেন বহু বিশেষজ্ঞ ।
ডায়েটে সবুজ সবজি ও বীজ জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। আয়রন যুক্ত খাবার বেশি খেতে বলেন চিকিৎসকরা।
পরিশেষে বলার, একটি স্বাভাবিক জীবনযাপনই আপনাকে শ্বেতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন ব্যয়াম, প্রচুর জল খাওয়া, আট ঘণ্টার ঘুম ব্যাতীত এই রোগের মোকাবিলা মুশকিল।
