আমাদের নিজেদের আত্মবিশ্বাসেও এর প্রভাব দেখা যায়। সাধারণত হরমোনজনিত কারণেই আমাদের এহেন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। বিভিন্ন রকম উপায়ে এই লোমগুলি থেকে রেহাই পাওয়া যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্ক্রাবিং করা।
কী কী প্রক্রিয়ায় স্ক্রাব মুখে ঘষলে এই অবাঞ্ছিত লোম দূর করা যায় জেনে নেওয়া যাক!
অনেকেই দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য ওয়াক্সিং করেন, এতে সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু অবাঞ্ছিত লোম আবার ফিরে আসে! অন্য দিকে, স্ক্রাবিং করলে অপ্রত্যাশিত লোমের বৃদ্ধি হঠাৎ করে অনেকটা কমে যায়।
advertisement
ঘরোয়া স্ক্রাব
বাজারে বিভিন্ন রকমের স্ক্রাব পাওয়া যায় যা লোমের বিকাশে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর। কিন্তু দেখা যায় লোম আবার ফিরে আসে এবং অনেক প্রোডাক্টের পার্শপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। এই কারণে এই সমস্যাকে নির্মূল করতে সব চেয়ে ভালো উপায় হল বাড়িতে তৈরি স্ক্রাব ব্যবহার করা। নিচে একটি স্ক্রাবের রেসিপি দেওয়া হল।
ওটমিল স্ক্রাব
এক চামচ ওটমিল পাউডার, এক চামচ মধু এবং ৬-৮ ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে ভালো ভাবে মেশাতে হবে। কিছুক্ষণ মেশানোর পর একটা পেস্ট তৈরি হবে। মুখে, শরীরে যেখানে যেখানে অবাঞ্ছিত লোম রয়েছে সেখানে এই পেস্ট লাগাতে হবে। এর পর ১৫ মিনিট ধরে ভালো ভাবে স্ক্রাবটিকে সংশ্লিষ্ট জায়গার ওপরে ঘষতে হবে এবং এর পর ধুয়ে ফেলতে হবে।
প্রত্যাশিত ফল পেতে নিয়মিত একই প্রক্রিয়ায় পেস্ট তৈরি করে স্ক্রাব করতে হবে। স্ক্রাবিং করলে চামড়ার ওপর টান পড়ে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এজন্য স্ক্রাব করা জায়গায় নারকেল তেল মাখাটাও দরকার।
স্ক্রাব যাচাই
যে কোনও স্ক্রাব ব্যবহারের আগে নিজের ত্বকের পরীক্ষা করে জেনে নিতে হবে যে ওই স্ক্রাব ত্বকের সঙ্গে স্যুট করছে কি না। বাড়িতে বানানো পেস্ট মুখে লাগানোর আগে হাতে বা কানের নিচের দিকে লাগিয়ে দেখতে হবে। কোনও রকম দাগ, জ্বলুনি বা চুলকানি না হলে বোঝা যাবে যে অবাঞ্ছিত লোম দূর করার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার ত্বকের জন্য উপযুক্ত। এই ভাবে নিয়মিত স্ক্রাবিং করলে খুব সহজেই ত্বক লোমহীন হয়ে যাবে।