আরও পড়ুন- কোনও দেশে বাঁদিকে, কোনও দেশে ডানদিকে গাড়ি চলে! এর কারণ জানেন?
বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বায়ু দূষণের দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি দুই কারণেই (Health Risks Of Air Pollution) হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি রোগের বৃদ্ধি এবং অন্যান্য গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা (Health Risks Of Air Pollution) হতে পারে। শ্বাস নেওয়া তো বন্ধ করা যায় না তবে বায়ু দূষণের কুপ্রভাব এড়াতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন- রাত জেগে মোবাইল ঘাঁটলে শুক্রাণুর ক্ষতি হয়, যৌনক্ষমতা কমে যায়, দাবি বিশেষজ্ঞদের
বাড়িতেই থাকুন
বায়ুর গুণমান পরিমাপের জন্য এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) রয়েছে। আপনার এলাকার বায়ুর গুণমান বুঝতে এটি ব্যবহার করুন এবং যদি দেখেন AQI অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর তাহলে অবশ্যই বেশি বেশি করে বাড়ির বাইরে যাওয়া বন্ধ করুন।
মাস্ক পরুন
করোনাভাইরাস সমগ্র বিশ্বকে তছনছ করে দিয়ে গেলেও মানুষের মধ্যে একটি ভালো অভ্যাস তৈরি করে দিয়ে গিয়েছে। তা হল ফেস মাস্ক ব্যবহার। N95 মাস্ক ব্যবহার করুন কারণ এগুলি কাপড়ের মাস্কের তুলনায় কার্যকরিভাবে বাতাসের দূষক পদার্থকে আটকায়।
ধুমপানকে বিদায় জানান
বাড়ির ভিতরে ধূমপান করবেন না। তবে তার আগে চেষ্টা করুন ধূমপানের অভ্যাসটাই ত্যাগ করার। ধূমপান কেবল আপনার স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করে না, বায়ুমণ্ডলে দূষণকারী উপাদানগুলিও বাড়িয়ে তোলে। নিজে ধূমপান ছাড়ুন, অন্যদেরও ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত করুন।
এয়ার পিউরিফায়ার
ঠিক করে বেছে বেছে ভালো দেখে এয়ার পিউরিফায়ার কিনতে পারেন। বাতাস পরিষ্কার রাখতে বাড়িতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন এবং নিয়মিতভাবে তার ফিল্টার পরিবর্তন করুন।
গাছ লাগান
বাড়িতে পিস লিলি, অ্যালোভেরা, স্পাইডার প্ল্যান্টের মতো চারা রোপণ করুন। এই গাছগুলি প্রাকৃতিক বায়ু পরিশোধক হিসাবে কাজ করে, ফলে বাড়ির ভিতরে প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও ফ্লোরিস্টের ক্রাইস্যান্থেমাম বা ‘মাম’ গাছও লাগাতে পারেন, এগুলি সবচেয়ে বেশি বায়ু পরিশোধন করে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন এই গাছ অ্যামোনিয়ার পাশাপাশি সাধারণ টক্সিনও দূর করে।