গবেষণা বলছে যে যাঁরা যত বেশি শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা তত কম। তাই বলে যে বিস্তর দৌড়ঝাঁপ করতে হবে বা জিমে গিয়ে ভয়ঙ্কর কসরত করতে হবে, তা কিন্তু নয়। তিনটে যোগব্যায়াম, যা বাড়িতে বসেই নিজের সময় মতো করা যায়, এই রোগ প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট।
তবে প্রতি দিন অন্তত আধ ঘণ্টা করে কোনও শারীরিক পরিশ্রম করলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে। হাল্কা হাঁটাচলা, বাড়ির লনের ঘাস ছাঁটা, সাঁতার বা সাইকেল চালানো এগুলো এক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে দেখে নেওয়া যাক তিনটি উপযোগী আসন কী ভাবে করতে হয়!
advertisement
১) গোমুখাসন (Gomukhasana)
এই যোগব্যায়াম বসে করা যায়। ধ্যান করার সময়ও অনেকে এটা করেন। এটি হঠ যোগের একটি অংশ। এই আসন শরীর ও মন খুব প্রশান্ত করে দেয়।
পদ্ধতি- পা প্রসারিত করে বসে বাঁ-পা বাঁকিয়ে ডান নিতম্বের নিচে রাখতে হবে। এবার বাঁ-পায়ের উপরে ডান পা বাঁকিয়ে সেটা বাম নিতম্বের দিকে টানতে হবে।
বাঁ-পায়ের উপরে ডান পায়ের হাঁটু থাকবে। বাঁ-হাত ঘুরিয়ে পিছনে নিয়ে যেতে হবে এবং হাতের তালু উঁচু রাখতে হবে। ডান হাত তুলে বাঁ-হাত ছোঁয়ার চেষ্টা করতে হবে। এবার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে হবে। চোখ বন্ধ রেখে ৩০ সেকেন্ড বা এক মিনিটের জন্য এই আসন করতে হবে।
২) নৌকাসন (Naukasana)
নৌকাসন অনেক সমস্যার সমাধান করে। এটি কোর এবং হিপ ফ্লেক্সারগুলিকে শক্তিশালী করে, হিপ জয়েন্ট এবং পায়ের নমনীয়তা বাড়ায়, হজমের উন্নতিও করে।
পদ্ধতি--পা ছড়িয়ে মেঝেতে বসতে হবে। মেরুদণ্ডকে সোজা রেখে হাতদু'টি দুই পাশে রাখতে হবে। হাঁটু বাঁকিয়ে শরীর কিছুটা পিছনে হেলাতে হবে। এবার হাত সোজা করে নৌকোর মতো পা তুলে দিতে হবে সামনের দিকে। পায়ের সামনের দিক চোখের সামনে থাকবে। ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের জন্য এই আসন করা যায়।
৩) ভুজঙ্গাসন (Bhujangasana)
ভুজঙ্গ অর্থাৎ সাপ, তাই এই যোগ ব্যায়ামকে কোবরা পোজও বলা হয়। মেরুদণ্ড ও কাঁধকে শক্তিশালী করে এই আসন। রক্ত সঞ্চালনও বৃদ্ধি করে।
পদ্ধতি--পেটের উপরে ভর দিয়ে শুতে হবে। কনুই উঁচু করে দুই হাত শরীরের দুই পাশে রাখতে হবে। নিঃশ্বাস নিয়ে মাথা, গলা ও কাঁধ উঁচু করতে হবে। পাঁচ সেকেন্ডের জন্য এই আসন করা যায়। পেট যেন মেঝের সঙ্গে চাপা থাকে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।