হার্ট অ্যাটাকের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে অবসাদ বা ক্লান্তি আসতে পারে। ২০০৩ সালে AHA ৫০০ জন যারা কখনো না কখনো অ্যাটাকের স্বীকার হয়েছেন এমন মহিলাদের ওপর একটি সার্ভে করে। এই সার্ভেতে প্রকাশ পায় প্রায় ৯৫ শতাংশ মহিলারাই বলেছেন তারা অ্যাটাকের প্রায় এক মাস আগে থেকেই ক্লান্তি অনুভব করতে শুরু করে। মোট অংশগ্রহণকারীদের ৭১ শতাংশ বলেন তারা ক্লান্তি অনুভব করার মতো নির্দিষ্ট কোনও কারণই খুঁজে পাননি।
advertisement
বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট লেজলি চো (Leslie Cho) জানিয়েছেন যদি হঠাৎ করেই রোগীদের মধ্যে ক্লান্তির প্রবণতা বৃদ্ধি পায় বা প্রতিদিনের কাজের পর ক্লান্তি বোধ হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অনিদ্রা
হঠাৎ করে ঘুম না কমে যাওয়া এক্ষেত্রে চিন্তার বিষয় হতে পারে। সার্ভেতে জানা গিয়েছে প্রায় ৪৮ শতাংশ মহিলারা অ্যাটাকের এক মাস আগে থেকে অনিদ্রাজনিত রোগে ভুগতেন।
বুকে ব্যাথা
সার্ভে অনুসারে প্রায় ৩১ শতাংশ মহিলারা অ্যাটাকের পূর্বে বুকে ব্যাথা অনুভব করতেন। যদিও ৪৩ শতাংশ মহিলারা এই ধরণের কোনো ব্যাথা অনুভব করেন নি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, “বুকে ব্যাথার মতো উপসর্গ না থাকায় পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক সনাক্ত করা এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।”
শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা
AHA-র সার্ভেতে বলা হয়েছে বুকে ব্যাথা না থাকলেও শ্বাস নিতে অসুবিধে হচ্ছে মনে হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক নিকা গোল্ডবার্গের (Nieca Goldberg) মতে, মহিলারা হার্ট অ্যাটাকের মতো বিষয়কে খুব সাধারণভাবে দেখেন। সম্ভবত এই কারণেই মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক সনাক্ত করা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
অস্বাভাবিকভাবে ঘামতে থাকা
স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত ঘাম হলে সেটিও অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। ধমনীতে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালনের সময় হার্টে প্রয়োজনের বেশি এনার্জির লাগে, এই পুরো প্রক্রিয়া চলার সময় ঘাম ঝরিয়ে আমাদের শরীর তার স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘাম শুধু মেনোপজের সমস্যা নয়, হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণও হতে পারে।
এই ধরণের কোনো সমস্যা হলে গাফিলতি না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।