অ্যাডনয়ডাইটিস কী?
এটা এমন এক অবস্থা, যেখানে অ্যাডিনয়েড (নাকের পিছনে এবং গলার উপরিভাগের টিস্যু)-এ প্রদাহ হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এটা খুবই সাধারণ সমস্যা। যার জেরে নাক ডাকা, মুখ দিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাস, বারবার কানে সংক্রমণ, শ্রবণশক্তি হ্রাস, শ্বাসকষ্ট, ঠোঁট ফাটা, নাক দিয়ে জল পড়া এবং মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। কোনও রকম সংক্রমণ, অ্যালার্জি কিংবা পাকস্থলীতে অ্যাসিড থেকে সমস্যার জেরে অ্যাডিনয়েড টিস্যুতে প্রদাহ হয়। এর ফলে অ্যাডনয়ডাইটিস হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: স্পার্কলিং ওয়াটার কী ? সোডার পরিবর্তে কি এটা খাওয়া ভাল ? জেনে নিন
কারণ:
অ্যাডিনয়েডের সংক্রমণের জেরে এই রোগ হয়। ২ বছর বয়স থেকেই অ্যাডিনয়েড স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তার ৮ বছর পর থেকে তা আকারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। যদি তা দীর্ঘ সময় ধরে ফুলে থাকে, তাহলে সেটা সমস্যা সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: রোজ খান কাঁচা বাদাম? দারুণ উপকারি! তবে সঠিক নিয়ম মেনে না খেলেই কিন্তু বিপদ! জানুন
কাদের ঝুঁকি বেশি?
যেহেতু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাডিনয়েড সঙ্কুচিত হয়, তাই শিশুদের ক্ষেত্রেই এই সংক্রমণ বেশি দেখা যায়। তবে নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে
বোতলে দুধ খাওয়া শিশু
শুয়ে স্তনদুগ্ধ পান করা শিশু
নাক ও গলার কাছে সংক্রমণ
অ্যালার্জিতে আক্রান্ত
অ্যাডনয়ডাইটিসের উপসর্গ ও নির্ণয়ের উপায়:
নাক বন্ধ হয়ে আসা
নাক ডাকা
স্লিপ অ্যাপনিয়া
ফাঁটা ঠোঁট, শুষ্ক মুখ
গ্লু ইয়ার
কানে ব্যথা ও সংক্রমণ
ঘাড়ের গ্ল্যান্ড ফোলা
অ্যাডনয়ডাইটিস নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারবাবু শিশুর নাক, কান, মুখ ও গলা পরীক্ষা করেন। উপসর্গ গুরুতর হলে রোগীদের এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন তাঁরা। এতে অ্যাডিনয়েড কতটা বেড়েছে, সেটা বোঝা যায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
অ্যাডনয়ডাইটিসের চিকিৎসা না করা হলে যেসব জটিলতা হবে, তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত -
নাক দিয়ে জল পড়া
বারবার কানে সংক্রমণ, শ্রবণশক্তি হ্রাস
মুখের শুষ্কতা, দাঁতের ক্ষয়রোগ
অনুনাসিক স্বরে কথা বলা
চিকিৎসা:
শিশুর বয়স ৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সঠিক হাইজিন বজায় রাখতে হবে। যাতে বারংবার সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। যদি চিকিৎসক শিশুর দেহে ব্যাকটেরিয়াঘটিত সংক্রমণ হয়েছে বলে সন্দেহ করেন, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েই চিকিৎসা করা হয়। সেই সঙ্গে নাকের স্প্রে-র মাধ্যমে অ্যাডিনয়েডের আকার কমানো সম্ভব। ওষুধে যদি তা না কমে, তাহলে অ্যাডিনয়েডেক্টোমি নামে সার্জারি করে আকারে বড় অ্যাডিনয়েড বাদ দেওয়া হয়।
