কালো জল কী?
কালো জল আসলে এক ধরনের ক্ষারীয় জল বা অ্যালকালাইন ওয়াটার। স্পোর্টস ড্রিঙ্ক বা এনার্জি ড্রিঙ্ক হিসেবেই ধরা হয় এই পানীয়কে। আসলে এর উপকরণের মধ্যে অন্যতম হল- ফ্লুভিক (FvA) অ্যাসিড। ফলে পানীয়ের রঙ কালচে দেখায়। রিপোর্ট বলছে, আমাদের শরীরের pH level নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ব্ল্যাক ওয়াটার। সেই সঙ্গে এটাও দাবি করা হয়েছে যে, এর মধ্যে কিছু ভিটামিন ও মিনারেল আছে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
advertisement
সম্প্রতি এই পানীয়ের বিষয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস (The Indian Express) এক জন বিশেষজ্ঞের মতামত প্রকাশ করেছিল। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ব্ল্যাক ওয়াটারে রয়েছে, প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। আবার অন্য একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, এই পানীয়ের মধ্যে এমন সব অণু রয়েছে, যা অনেক বেশি পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান বা নিউট্রিয়েন্টস ধরে রাখতে সক্ষম। আর আমাদের শরীরও খুব দ্রুত সেই সব পুষ্টিকর উপাদান শোষণ করে নিতে পারে। শুধু তা-ই নয়, রিপোর্টটিতে আরও দাবি করা হয়েছে, ব্ল্যাক ওয়াটার ডায়াবেটিস আর কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করতেও বড় ভূমিকা পালন করে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্ল্যাক ওয়াটার খুবই উপকারী!
রিপোর্টের দাবিগুলো কি সত্য?
আসলে অ্যালকালাইন ওয়াটার বা ক্ষারীয় জলের উপযোগিতা সম্বন্ধে খুবই কম বৈজ্ঞানিক তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। তাই শরীরের জন্য এর উপকারিতা নিয়ে একটু সংশয় থেকেই যায়। তবে কিছু তথ্য থেকে জানা যায়, ক্ষারীয় জলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরের ইমিউনিটির জন্য ভালো এবং শরীরকে হাইড্রেট করতেও সক্ষম। যদিও এটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারাটা একটু মুশকিল! কারণ এই বিষয়ে গবেষণার খুব অল্প তথ্যই আমাদের হাতে উঠে এসেছে। তাই কেউ যদি এটা নিজেদের ডায়েটের তালিকায় যোগ করতে চান, তা হলে তাঁকে ডাক্তার অথবা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। আসলে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কেমন অথবা কতটা খেতে হবে, এই বিষয়টা বিশেষজ্ঞরাই ভালো বলতে পারবেন।
এই পানীয় কি খুব দামী?
আমাদের দেশে প্যাকেটজাত ব্ল্যাক অ্যালকালাইন ওয়াটার অনলাইনেই পাওয়া যায়। এমনকী, এর একটি ভারতীয় ব্র্যান্ডও রয়েছে, যা এখানেই তৈরি হয়। তবে এই পানীয়ের দাম বেশি হয়। একটি প্যাকেটে ৬টি ৫০০ মিলিলিটারের বোতল থাকে, যার দাম পড়ে ৫০০ টাকার উপরে, যা মধ্যবিত্তদের কাছে একটু বেশি তো বটেই!
আরও পড়ুন: বাড়তি ওজন হ্রাস থেকে মধুমেহ নিয়ন্ত্রণ, বহু সমস্যার সমাধান লুকিয়ে ত্রিফলায়