মূত্রথলি সংক্রান্ত এই স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস:
সময়ে সময়ে মূত্রথলি ফাঁকা করতে হবে:
যতক্ষণ না প্রয়োজন পড়ছে, ততক্ষণ শৌচাগারে যান না অধিকাংশ মানুষই। কিন্তু ২-৩ ঘণ্টায় অন্তত একবার করে মূত্রথলি খালি করা উচিত। অর্থাৎ দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
প্রস্রাবের বেগ চেপে রেখে বিলম্ব নয়:
advertisement
ভ্রমণকালে প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখা বিষয়টা তা-ও মানা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিদিন প্রস্রাব চেপে রেখে মূত্রত্যাগে বিলম্ব করা একেবারেই উচিত নয়। এতে মূত্র সংক্রান্ত সমস্যা তো হবেই, সেই সঙ্গে মূত্র সংক্রমণও হতে পারে।
মূত্রত্যাগের সময় তাড়াহুড়ো নয়:
মূত্রত্যাগ করার সময় মন এবং শরীর স্থির রাখতে হবে। তাড়াহুড়ো করা চলবে না। নাহলে মূত্র সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আরামদায়ক অবস্থানে বসে ধীরেসুস্থে মূত্রথলি খালি করতে হবে।
পর্যাপ্ত তরল পান:
নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। দিনে অন্তত ১০-১২ গ্লাস ফ্লুয়িড পান করা আবশ্যক। স্যুপ, জ্যুস কিন্তু ফ্লুয়িডের তালিকাতেই পড়ে। আসলে ফ্লুয়িড হিসেবে জল পান করা অনেক সময় বহু মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
ক্যাফিনযুক্ত পানীয়:
চা, কফি এবং কোলা-র মতো ক্যাফিনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা উচিত। এর ফলে বারবার প্রস্রাবের বেগ আসতে থাকে।
ধূমপান নয়:
ধূমপানও এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এর জেরে ভাস্কোকনস্ট্রিকশন হতে পারে। যার ফলে মূত্রথলিতে অস্বস্তির কারণে বারবার প্রস্রাব পেতে থাকে।
এক্সারসাইজ:
পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ করা উচিত। দিনে অন্তত দু’বার করে ১০-১৫ মিনিটের জন্য এই ব্যায়াম করলে পেলভিক ফ্লোর মজবুত হবে। কারণ পেলভিক ফ্লোরই মূত্রথলিকে সাপোর্ট দেয়। এই এক্সারসাইজ করলে ইউরিনারি লিক অনেকটাই প্রতিরোধ করা যাবে।
ট্রিগার এড়িয়ে চলা আবশ্যক:
অতিরিক্ত ওজন, ক্রনিক কাশি এবং ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্য পেলভিক ফ্লোরে চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে সহায়তাকারী পেশিগুলি শিথিল হয়ে আসে এবং মূত্র বেরিয়ে যায়। এর জন্য সঠিক ওজন বজায় রাখা উচিত। সেই সঙ্গে ক্রনিক কাশি এবং ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বিষয়গুলিও এড়িয়ে চলা ভাল।