অ্যাজমার ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক ওষুধ সেবনে অনেকের বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তাই সকলের চেষ্টা করা উচিত ওষুধ ছাড়াই যতটা সম্ভব সুস্থ থাকা যায়। কী খেলে আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন তার বিস্তারিত রইল এই প্রতিবেদনে।
ভিটামিন সি (Vitamin C)
যাঁদের ফুসফুসে বা শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা আছে তাঁরা প্রতি দিন খাবারে পরিমিত ভিটামিন সি গ্রহণ করবেন। ভিটামিন সি ফুসফুসকে আরও বলিষ্ঠ করে। যার ফলে যাঁদের ফুসফুসে কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁরা ভিটামিন সি গ্রহণ করলে তাঁদের ফুসফুসের সমস্যা সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। দেখা গিয়েছে যাঁরা প্রতি দিন পরিমিত ভাবে ভিটামিন সি গ্রহণ করেন তাঁরা খুব একটা অ্যাজমায় আক্রান্ত হন না। পাশাপাশি যাঁদের ইতিমধ্যে অ্যাজমা আছে তাঁরাও নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট অনেকটাই কমবে।
advertisement
কোন কোন খাবারে ভিটামিন সি আছে?
ভিটামিন সি-এর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উৎস লেবু। পাতি লেবু হোক বা গন্ধরাজ লেবু, প্রতি দিন দুপুরে খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন। অথবা জলের সঙ্গে গুলেও খেতে পারেন। এছাড়াও কমলালেবু থেকেও ভিটামিন সি পাবেন। এছাড়াও ব্রকোলি বা কিউই থেকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাবেন।
মধু ও দারচিনি
যাঁরা নিয়মিত মধু ও দারুচিনি খান তাঁদের ক্ষেত্রে ফুসফুসের সমস্যায় ভোগা সম্ভাবনা কম। সামান্য পরিমাণে মধু ও দারচিনি খেলেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ঘুমোতে যাওয়ার আগে অল্প মধু ও সামান্য দারচিনি মিশিয়ে খেলেই কেল্লাফতে। ফুসফুসের সমস্যার সমাধান।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতা ফুসফুসের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। তার মধ্যে থাকে অত্যন্ত বেশি পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ফর্মুলা। যা ফুসফুস ও শ্বাসযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী। চা তৈরির সময় দু'টো বা তিনটি তুলসী পাতা চায়ে ফেলে দিতে পারেন। এবং তার পর তা ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। নিয়মিত খেলে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে আপনার শ্বাসযন্ত্র। শুধু শ্বাসযন্ত্রের জন্য নয়, শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য অনেকটাই কার্যকরি তুলসী। ঠাণ্ডা লাগার হাত থেকে রক্ষা করে তুলসী।
ডাল ও শাকবজি
প্রতিদিন খাবারে রাখুন ডাল ও সবজি। যে কোনও সবজি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। আর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।