শীতকালেই কেন ব্যথা-বেদনা বাড়ে?
শীতের মরশুমে বাড়ে ব্যথা-বেদনা। এর সবথেকে বড় কারণ হল, শীতের মরশুমে ইনফ্লেমেটরি উপাদানের লোকাল কনসেন্ট্রেশন বৃদ্ধি পায়। আর সাইটোকাইন এবং প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মতো ইনফ্লেমেটরি উপাদান ব্যথা-বেদনা এবং ফোলা ভাব বৃদ্ধি পায়। আর শরীর ঠান্ডার সংস্পর্শে এলে রক্তের প্রবাহও ধীর গতিতে হতে থাকে। তার ফলে গাঁট বা জয়েন্টে ইনফ্লেমেটরি উপাদানের জমা হওয়া বেড়ে যেতে থাকে।
advertisement
শুয়ে থাকাকালীন ব্যথা কেন কমে যায়?
যখন কেউ বিশ্রাম নেন, তখন এই প্রদাহজনিত উপাদানগুলির গতিবিধিও কমে যায়। ফলে ব্যথা-বেদনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অনেকটাই। কিন্তু কেউ যখন আবার নড়াচড়া বা চলাফেরা করতে শুরু করেন, তখন এই উপাদানগুলির কনসেন্ট্রেশনও বেড়ে যায়। তখনই ব্যথা অনভূত হয়।
এই সময়ে কী কী খাওয়া উচিত?
ডা. শিবম রাইয়ের পরামর্শ, শীতের মরশুমে শরীরের ব্যথা-বেদনা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঈষদুষ্ণ দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে পান করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, জয়েন্টের ব্যথার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী হতে পারে অশ্বগন্ধা। শরীরে ফোলাভাব থাকলে অশ্বগন্ধা তা নিমেষে কমিয়ে দিতে পারে। এই সময় শারীরিক যন্ত্রণা বাগে আনার জন্য ইষদুষ্ণ জল পান করতে হবে।
এই সময়ে কী কী খাওয়া উচিত নয়?
ডা. শিবম রাই বলেন যে, শীতের দিনে গাঁটে ব্যথা বৃদ্ধি পায়। তা প্রতিরোধ করতে বা কাবু করার জন্য অতিরিক্ত ফ্যাটি এবং অয়েলি খাবার খাওয়া চলবে না। শুধু তা-ই নয়, এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ঝাল আর মশলা দেওয়া খাবারও পাতে রাখা উচিত নয়। খাবার ছাড়াও আরও অনেক বিষয় রয়েছে। যেমন – নিজের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কারণ দেহের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে জয়েন্টে ব্যথা বা গাঁটের যন্ত্রণা বৃদ্ধি পেতে পারে।