চিনি কম: সারাদিন উপবাস থাকে। জল, খাবার কিছুই পেটে পড়ে না। সন্ধ্যায় উপবাস ভাঙার সময় অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার তাৎক্ষণিকভাবে শক্তি যোগায় ঠিকই, কিন্তু তার প্রভাব পড়ে সুদূরপ্রসারী। চিনিতে বেশি মাত্রায় ক্যালোরি থাকে। ফলে বেশি মাত্রায় খেলে ওজন বাড়তে পারে। তাই রোজা ভাঙার সময় কতটা পরিমাণ চিনি শরীরে যাচ্ছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
advertisement
চাই ব্যালান্স ডায়েট: অতিরিক্ত চিনির মতো ভাজাভুজিও এড়িয়ে চলতে হবে। বদলে বেছে নিতে হবে সুষম ডায়েট। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাকসবজি, ফল এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। সারাদিন পরিপূর্ণ থাকতে এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে এই ধরনের খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতেই হবে। স্বাস্থ্যকর খাবারে ক্যালরি কম থাকে। সেটাই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - High Interest Rate: সিনিয়র সিটিজেনদের ফিক্সড ডিপোজিটে বেশি সুদ, সুযোগ মিস করবেন না
খাবার খেতে হবে ধীরে: সন্ধ্যায় উপবাস ভাঙার সময় অনেকেই খিদের চোটে তাড়াতাড়ি খাবার খান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটা ভুল পদ্ধতি। দ্রুত খাবার খেলে কখন পেট ভরে গেছে মস্তিষ্ক বুঝতে পারে না। ফলে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে যায়। তাই ধীরে ধীরে খেতে হবে। ছোট ছোট কামড় দিয়ে প্রতিটা টুকরো উপভোগ করতে হবে। তবেই মস্তিষ্ক পূর্ণতার স্বাদ পাবে।
প্রচুর জলপান করতে হবে: প্রতিদিন ২ থেকে ৩ লিটার জলপান করা আবশ্যক। এমনই পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রোজা রাখার ফলে প্রায় ১২ ঘণ্টা খাবার তো দূর জলও যায় না। তাই রোজা ভাঙার পর বেশি করে জল খেয়ে শরীরকে পুষিয়ে দিতে হবে। তাছাড়া শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতেও জল অপরিহার্য।
আরও পড়ুন - Weather Update: দেশের একাধিক অংশে লু-র অ্যালার্ট জারি, পশ্চিমবঙ্গে চোখ রাঙাচ্ছে বজ্রবিদ্যুৎ সহ কালবৈশাখী
একটু হাঁটাহাঁটি আবশ্যক: রোজা ভাঙার পর খাবার খেয়ে বা রাতের খাবার পর তৎক্ষণাৎ বিছানায় শুতে যাওয়া ঠিক নয়। একটু হাঁটাহাঁটি করা দরকার। এতে ক্যালোরি পোড়ে, পেটে চর্বি জমে না। তাছাড়া দীর্ঘ উপবাসের পর খাবার খেয়ে একটু হাঁটাহাঁটি হজমেরও সাহায্য করে।