আসলে যে কোনও রোগ থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা করে না। অথচ নিজে নিজে ওষুধ খেয়ে যে বিপদ ডেকে আনছেন, সেটা অনেকেই বোঝেন না। লখনউ সিভিল হাসপাতালের চিফ ফার্মাসিস্ট ডা. সুনীল যাদব সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন যে, রাসায়নিক ওষুধ অথবা কোনও সাধারণ ওষুধ যে কোনও সময়ে যে কারও ক্ষতি হতে পারে। অধিকাংশ মানুষ ওষুধ খায় এবং সুস্থ বোধ করে।
advertisement
অথচ আবার কয়েক দিন পরে সেই একই ওষুধ খাওয়ার ফলে অ্যালার্জি কিংবা অন্য কোনও সমস্যার সম্মুখীন হন তাঁরা। এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এই ওষুধ বিপদ ডেকে আনছে। অর্থাৎ হিতে বিপরীত হয়ে যায়। ডা. সুনীল যাদব আরও বলেন যে, ডাক্তাররা আসলে ওষুধের সঠিক পরিমাণ এবং সেটা খাওয়ার সঠিক সময় বলে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: মাটি থেকেই মেলে সোনা, এভাবেই প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা আয় হয় গ্রামবাসীদের, কোথায়?
ডা. যাদবের পরামর্শ, “আমাদের যখন কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা প্রভৃতির মতো সমস্যা দেখা দেয়, তখন আমরা যে কোনও কাফ সিরাপ খেয়ে নিই। এই ধরনের সমস্যা হলে প্রথমেই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই ওষুধ অথবা সিরাপ খাওয়া উচিত। তবে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খেলে স্মৃতিভ্রংশ, উচ্চ রক্তচাপ, উত্তেজনা, ক্লান্তি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।”
আরও পড়ুন: ভাল করে চিনুন পাতাগুলি, বাড়ির আশপাশেই রয়েছে এই লতানো গাছ! খেতে শুরু করলে ওষুধের খরচ কমবেই
ডা. সুনীল যাদবের মতে, ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কেনার সময় ফার্মাসিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ ওষুধের বিষয়ে সঠিক তথ্য তিনিই বুঝিয়ে দিতে পারেন। অর্থাৎ ওষুধ কখন খেতে হবে, কিংবা খালি পেটে খেতে হবে না কি, আর কীভাবে খেতে হবে – এইসব ফার্মাসিস্টই বুঝিয়ে দিতে পারেন। আবার কয়েকটি ওষুধ খাওয়ার পরে দুধ পান করা উচিত নয়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, ওষুধ কেনার সময় ফার্মাসিস্টরাই সমস্ত জরুরি তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F