এক তৃতীয়াংশ মহিলাদের মধ্যে এই পায়ের সমস্যা দেখা দেয়। এর মূল কারণ হচ্ছে যাঁরা হিল পরেন তাঁরা অনেক ছোট ছোট স্টেপ ফেলেন এবং পা চেপে হাঁটেন। যাঁরা ফ্ল্যাট জুতো পরেন তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায় না।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির পাহাড়, তদন্তে গতি আনার দাবিতে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করবে বামেরা
advertisement
হিল জুতো যতই স্টাইলিশ হোক না কেন, এই জুতো পায়ের জন্য ভাল নয়। এই জুতো পরার কারণে কোমর, হাঁটু ও পিঠে ব্যথা হয়। ব্যথা হয় পায়ের পাতার নিচেও। একে মেটাটারসালজিয়া বলা হয়। পায়ে অত্যধিক চাপ দেওয়ার জন্য এটা হয়ে থাকে। হিল যত বেশি হবে, পিঠ, নিতম্ব এবং হাঁটুতে সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি তত বেশি।
দুই ইঞ্চি বা তার চেয়ে বেশি হিল পরলে অ্যাকিলিস টেন্ডন ও কাফ পেশিতে টান পড়ে। মুশকিল হচ্ছে বহু বছর হিল জুতো পরার অভ্যাসের কারণে পা সেভাবেই মানিয়ে নেয়। তখন ফ্ল্যাট জুতো পরা যায় না এবং খালি পায়েও হাঁটা যায় না। হিল যত বেশি হয়, সমস্যাও তত বেশি হয়। এক ইঞ্চি হিল পায়ের পাতায় ২২% চাপ দেয় আর তিন ইঞ্চি হিল ৭৫% চাপ দেয়।
আরও পড়ুন: শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবার ভানুর চরিত্রে, অপেক্ষা 'যমালয়ে জীবন্ত ভানু'-র
যদি দীর্ঘদিন হিল জুতো পরার কারণে পায়ে সমস্যা ও অস্বস্তি দেখা দেয় তাহলে এই পরামর্শগুলো কাজে লাগতে পারে।
১) জুতো পরিবর্তন করতে হবে। পরতে হবে ফ্ল্যাট আরামদায়ক জুতো।
২) এমন ব্যায়াম করলে চলবে না যাতে হাঁটু, হিপ ও পিঠে চাপ পড়ে। পরিবর্তে সাঁতার, রোয়িং এগুলো করা যায়।
৩) ফ্ল্যাট জুতো বা ওয়েজ দেওয়া জুতো পরা অভ্যেস করতে হবে।
৪) যদি হিল পরতেই হয় তাহলে কম হিল দেওয়া জুতো পরতে হবে।
৫) হিল পরার আগে কাফ পেশি স্ট্রেচিং করতে হবে। লাঞ্জেস বা অন্যান্য কাফ স্ট্রেচিং পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
পুরোপুরি হিল জুতো পরা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য মেনে চলতে হবে এই টিপস-
১) জুতো কেনার সময় সচেতন থাকতে হবে। জুতোর সাইজ বড় হলেও চলবে, কিন্তু ছোট যেন না হয়। এতে পায়ে ব্যথা হবে।
২) কারও পা সরু, কারও চওড়া, কারও পায়ের আঙুল ছোট, আবার কারও পায়ের আঙুল লম্বা হতে পারে। পায়ের এই বিচিত্র আকার অনুযায়ী জুতো বেছে নিতে হবে।
৩) জুতো কেনার আগে ট্রায়াল দিয়ে দেখে নিতে হবে তাতে প্যাডিং বা কুশন আছে কি না। অর্থাৎ জুতো আরামদায়ক কি না।
৪) জুতোর হিল কোথায় আছে সেটা দেখে নিতে হবে। সাধারণত হিল থাকা উচিত গোড়ালির নিচে। হিল যত মোটা হবে, তত বেশি আরামদায়ক হবে।
৫) ৩-৯ সেন্টিমিটারের হিল জুতো সবচেয়ে বেশি আরামদায়ক হয়। তার চেয়ে বেশি হিল হলে সেটা পায়ে ব্যথা দিতে পারে।
৬) মাঝে মাঝে পায়ে আরাম দিতে হবে। সুযোগ পেলে পা ছড়িয়ে জুতো খুলে বসতে হবে।
৭) রোজ হিল দেওয়া জুতো না পরে মাঝে মাঝে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে এই জুতো পরলেই সবচেয়ে ভাল হয়।