শুধু তাই নয়, পুষ্টিকর খাবারই স্মৃতিশক্তি বাড়ায়, আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা দেয় সঙ্গে মাল্টিটাক্সিংয়ের ক্ষমতাকে উন্নত করে। একটি সম্পূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় থাকে খনিজ, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা মস্তিষ্ককে পুষ্টি জোগায় এবং মানসিক চাপ বা উদ্বেগ থেকে রক্ষা করে। তাই অভিভাবকদের উচিত তাদের বাচ্চাদের সামগ্রিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য পুষ্টিকর খাবার দেওয়া। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে যে খাবারগুলো সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে তার একটা তালিকা এখানে দেওয়া হল।
advertisement
আরও পড়ুন: শহিদ দিবসে বিপুল জনসমাগমের অপেক্ষা, এখন থেকেই প্রস্তুতি তুঙ্গে তৃণমূলের
ডিম: প্রোটিন এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম বাচ্চাদের একাগ্রতা ও মনোযোগ বৃদ্ধি করে। ডিমের কুসুম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ধারণ ক্ষমতাও বাড়ায়। ডিম সুখী হরমোন ‘সেরাটোনিন’ তৈরি করতে সাহায্য করে যা একটা বাচ্চাকে সারাদিন হাসিখুশি এবং প্রফুল্ল রাখে।
মাছ: মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাট, আয়োডিন এবং জিঙ্ক থাকে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। সবচেয়ে বড় কথা, মাছ শিশুদের মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটারের ক্ষমতা বাড়ায়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব বাচ্চারা সপ্তাহে অন্তত দু'দিন মাছ খায় তাদের স্মৃতিশক্তি ভালো হয়, মেজাজও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাছাড়া মাছ শিশুদের টাইপ ১ ডায়াবেটিস কমাতেও সাহায্য করে।
বেরি: বেরিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামক যৌগ রয়েছে। এটা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বেরি প্রদাহ বিরোধী। এটা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং নতুন স্নায়ু কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। নিয়মিত বেরি খেলে শিশুর মস্তিষ্ক সজাগ এবং তীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: পঞ্জিকা ১৫ জুলাই: দেখুন নক্ষত্রযোগ, আজকের শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল ও দিনের অন্য লগ্ন
শাকসবজি: সবুজ শাকসবজি শিশুর মস্তিষ্কের জন্য অপরিহার্য। পালং শাক, লেটুস এবং কেলের মতো শাকসবজিতে ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন ই এবং কে ১-এর মতো যৌগ থাকে যা শিশুর মস্তিষ্ককে রক্ষা করে। যেসব শিশুরা পর্যাপ্ত শাকসবজি খায় তাদের আইকিউ ভালো হয়। সবুজ শাক ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় মস্তিষ্ক এবং অন্ত্রে প্রদাহ রোধ করে।
দই: প্রোটিনে ভরপুর দই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য চমৎকার উপাদান। এতে আয়োডিন আছে যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। দইয়ে প্রোটিন, জিঙ্ক, বি ১২ এবং সেলেনিয়াম রয়েছে যা মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। শিশুদের সকালের জলখাবারে ফল এবং বাদামের সঙ্গে দই দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাদাম: এতে ভিটামিন ই, জিঙ্ক, ফোলেট, আয়রন এবং প্রোটিন বেশি পরিমাণে থাকে। বাদাম এবং বীজ শিশুদের অ্যাকাডেমিক কর্মক্ষমতা এবং আই কিউ বাড়াতে সাহায্য করে।
কমলালেবু: কমলালেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা একটি সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য অত্যাবশ্যক। বাচ্চাদের ভালো পারফরম্যান্স, মনঃসংযোগ, ধারণ ক্ষমতা, একাগ্রতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন একটা কমলালেবু খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।