যে কোনও বয়সের মানুষের এমনকী শিশুদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিক ভাবে কাজ না-করলে যে-সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে:
অবসন্ন ভাব এবং ক্লান্তি
ঠান্ডা লাগা
কোষ্ঠকাঠিন্য
মুখে ফোলাভাব এবং রুক্ষ-শুষ্ক ত্বক
কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি
গাঁটে ব্যথা
advertisement
ডিপ্রেশন অথবা স্মৃতিভ্রংশ
যাঁরা হাইপোথাইরয়েডিজমে ভুগছেন, তাঁদের ওজন কিছুতেই কমতে চায় না। এর জন্য অবশ্য ডায়েটে বদল আনা উচিত। খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে খাবারের পরিমাণের উপর নজর রাখতে হবে। তার সঙ্গে মূল নিউট্রিয়েন্টগুলিকে ব্যালেন্স করতে হবে। ডায়েটে এমন খাবার যোগ করা উচিত, যা আয়োডিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিনে ভরপুর। থাইরয়েডের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য পাঁচটি খাবার ডায়েটে যোগ করা আবশ্যক। এমনটাই জানাচ্ছেন বেঙ্গালুরুরল অ্য়াস্টার সিএমআই হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন ডায়েটেটিক্সের প্রধান এডুইনা রাজ।
আরও পড়ুন: বুদ্ধি বাড়াতে চান? এই কাজগুলো করুন, হাতেনাতে ফল মিলবে!
বাদাম এবং বীজজাতীয় খাবার:
সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের দুর্দান্ত উৎস ব্রেজিল নাট। যা থাইরয়েডের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক। চিয়া ও কুমড়ো বীজ আবার জিঙ্কে ভরপুর। ফলে স্ন্যাক্স হিসেবে এটা দারুন। এই রোগীদের মধ্যে বারবার খাওয়ার অভ্যেস দেখা যায়। তা নিয়ন্ত্রণের জন্য অয়েলসীড এবং বাদামজাতীয় খাবার খুবই উপকারী।
বিনস ও লেগিউমস:
বিনস এবং লেগিউমসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। যা মেটাবলিজমের উন্নতি করে। আর পেট অনেকক্ষণ ভর্তি রাখতেও সাহায্য করে। ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন: ব্যথায় মাথা ছিঁড়ে যাচ্ছে? দুধ দিয়ে জিলিপি খান, সত্যি সত্যি ম্যাজিক হবে!
ডিম:
থাইরয়েড রোগীরা ওজন কমানোর জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিমের কুসুম এবং ডিমের সাদা অংশ উভয়ই খাওয়া যাবে। কারণ ডিমে রয়েছে জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ও প্রোটিন। যা ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং হাড় মজবুত করতে সহায়ক।
সবজি:
ওজন কমাতে টম্যাটো ও বেলপেপার-সহ কিছু সবজি ডায়েটে যোগ করতে হবে। এতে থাকে ভিটামিন-সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
জল এবং নন-ক্যাফিনেটেড পানীয়:
ব্লোটিংয়ের সমস্যা কমাতে, শরীর থেকে টক্সিন বার করে দিতে এবং হরমোনের মাত্রা সঠিক রাখতে পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে। এটা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সঠিক ওষুধ খেতে হবে। তবে সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় হওয়াটা জরুরি। এর জন্য যোগাসনের মতো শারীরিক এক্সারসাইজ করতে হবে। এর সঙ্গে মদ্যপান এবং ধূমপানের অভ্যেস ত্যাগ করতে হবে। তবে সকালের দিকে কফি, সয়া, পেঁপে, বাতাবি লেবু এবং ফাইবার ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সাপ্লিমেন্ট না খাওয়াই ভাল। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে না রাখলে নানা সমস্যা দেখা দেবে। যেমন - কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্ব ও অস্টিওপোরোসিস প্রভৃতি। এমনকী ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ও অ্যানিমিয়ার মতো অটোইমিউন রোগও হতে পারে।