আসলে, এই পেমলি বের হালকা সবুজ রঙের। এই ফল পাকার পর লাল ও বাদামি হয়ে যায়। এই কুল অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এছাড়াও এটি শক্তির অসাধারণ একটি উৎস। এতে অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। এছাড়া এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টেও ভরপুর।
কুল বিক্রেতা মৌলি দেবী জানিয়েছেন যে, রাজস্থানের ঝোপে-ঝাড়ে প্রচুর পরিমাণে কুলর জন্মায় যা নভেম্বর মাস থেকে ফলন দেওয়া শুরু করে। বৃষ্টি হলে এই কুলগুলো বেড়ে ওঠে। এই মুহূর্তে বাজারে আসছে বড় সাইজের কুল অর্থাৎ পেমলি বের। যেগুলো সাধারণত কুল গাছে জন্মায়। এটি মাত্র একমাসই ফলন দেয়। একে অনেকে সেভ বের বলেও চেনেন। সবচেয়ে ছোট আকারের কুল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ১০০ টাকায়। অন্য দিকে, মাঝারি আকারের কুল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৫০ টাকায়। আবার পেমলি বের অর্থাৎ বড় আকারে কুল বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। এগুলো বিকানের ও আশপাশের এলাকায় উৎপাদন হয়।
advertisement
কুল খাওয়ার উপকারিতা
আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. অমিত গেহলট আমাদের জানিয়েছেন যে, কুল খাওয়ার অনেক রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এগুলোতে খুব কম ক্যালোরি থাকে, তাই এটি ওজন কমাতে সহায়ক। কুলে সিনার্জিস্টিক প্রভাব রয়েছে, এতে এটি আমাদের শরীর ও মনকে শান্ত রাখে। এই ফল এবং ফলের বীজে রয়েছে স্যাপোনিন এবং পলিস্যাকারাইড যা গভীর ও ভালো ঘুমোতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা আমাদের হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে। এটি ক্যানসার কোষের সঙ্গে লড়াই করতেও সমান সহায়ক। কুলে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন যা হাড়কে মজবুত করে। এছাড়াও এতে উচ্চ পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।