সাফসুতরো রাখতে হবে লেন্স:
থার্মাল স্ক্যানারের লেন্সে প্রায়ই ধুলো-বালি কিংবা ময়লা জমে। আর এই কারণেও কিন্তু থার্মোমিটারের রিডিং ভুল আসতে পারে। এ-ক্ষেত্রে তাই থার্মোমিটার ব্যবহার করার সময় অবশ্যই স্ক্যানারের লেন্স পরিষ্কার রাখতে হবে।
খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর:
গরম অথবা ঠান্ডা পানীয় পান করলেও তাতে শরীরের তাপমাত্রা প্রভাবিত হতে পারে। যার ফলে থার্মোমিটারের রিডিংও ভুল আসতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে জ্বর পরীক্ষা করার ১৫ মিনিট আগে গরম অথবা ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলাই ভাল।
advertisement
জিহ্বার নিচে থার্মোমিটার:
মুখের ভিতরে থার্মোমিটার রেখেই সাধারণত জ্বর পরিমাপ করা হয়। কিন্তু মুখের মধ্যে সঠিক অবস্থানে থার্মোমিটার না-রাখার দরুনও ভুল রিডিং আসতে পারে। এ-ছাড়াও অনেকেই জ্বর পরিমাপ করার সময়ের উপরেও নজর দেন না। তাই সে-দিকটাও দেখতে হবে। জ্বর পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে জিহ্বার নিচে প্রায় ৫ মিনিট মতো রাখতে হবে থার্মোমিটার। এর পরেই মুখ থেকে থার্মোমিটার বার করে রিডিং চেক করতে হবে।
থার্মোমিটারের ধরন:
জ্বরের সঠিক রিডিং পাওয়ার জন্য পারদের থার্মোমিটার ব্যবহার করাই ভাল। তবে মার্কারি থার্মোমিটার বাজারে এখন খুব কমই দেখা যায়। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরনের থার্মোমিটারকে বিষাক্ত বলেও গণ্য করা হয়।
ডিজিটাল থার্মোমিটারের ব্যবহার:
আজকাল বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিজিটাল থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় হাত থেকে পড়ে যাওয়া কিংবা ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে ডিজিটাল থার্মোমিটারও ভুল রিডিং দিতে পারে। যার কারণে জ্বর সঠিক ভাবে পরিমাপ করা যায় না।
জিহ্বাকে স্থির রাখতে হবে:
অনেকেই জিহ্বার নিচে থার্মোমিটার রেখে জ্বর মাপার সময় জিহ্বাটি নাড়াচাড়া করে থাকেন। যার জেরে থার্মোমিটারের রিডিংও পরিবর্তন হতে থাকে। তাই থার্মোমিটার ব্যবহার করে সঠিক ভাবে জ্বর পরিমাপ করার জন্য জিহ্বাকে স্থির রাখা প্রয়োজন।
ঘরের তাপমাত্রার দিকে নজর:
থার্মোমিটার ঠান্ডা ঘরে রেখে জ্বর মাপলেও ভুল রিডিং আসতে পারে। এর জন্য ব্যবহারের আধ ঘণ্টা আগে থার্মোমিটারকে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে হবে এবং থার্মোমিটারের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পরেই তা ব্যবহার করতে হবে।