১. ফল
বাচ্চাদের ছোট থেকেই ফল খাওয়ানো হয়। ফলের টুকরো যদি বড় হয় তা হলে তা খেতে বাচ্চাদের সমস্যা হতে পারে, পাশাপাশি বড় টুকরো দ্রুত গলায় আটকে যেতে পারে। তাই ফল রস করে খাওয়ানো ভালো। না হলে ভালো করে ছোট টুকরো করে কেটে খাওয়ানো ভালো।
লজেন্স, চকোলেট বা এই ধরনের খাবারও বড় টুকরো হলে তা গলায় আটকে যেতে পারে। ফলে ছোট করে টুকরো করে খাওয়ানো উচিত।
advertisement
২. বিস্কুট
বিস্কুট শুকনো হয় বলে এমনিতেই এটি গলায় আটকে যায়। বিস্কুট খাওয়ানোর সময় জল সামনে রাখতে হবে এবং এক্ষেত্রেও ছোট ছোট টুকরো বিস্কুট খাওয়াতে হবে। অনেক সময় বাচ্চারা গোটা বিস্কুট চোখের আড়ালে মুখে ঢুকিয়ে দেয়। তা যাতে না হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে।
৩. পপকর্ন
এটিও শুকনো খাবার। আকারে ছোট। কিন্তু অনেক সময় বাচ্চাদের গলায় পপকর্ন আটকে যায়। ফলে পপকর্ন খাওয়ালে সেই সময় বাড়তি নজর দিতে হবে।
এছাড়াও খাওয়ার সময় কথা না বলাই ভালো। শুধু বাচ্চা নয়, এটি বড়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বাচ্চা বয়স থেকেই এই অভ্যাস তৈরি করতে হবে। কারণ খেতে খেতে কথা বললে অনেক সময় খাবার গলায় আটকে গিয়ে বিপত্তি হয়। যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
বাচ্চারা খাওয়ার সময় ছাড়াও ঘরে পড়ে থাকা অনেক জিনিসই খাবার ভেবে খেয়ে ফেলে। তাই ঘরে বোতাম, পেনের খাপ, কয়েন এসব ছড়িয়ে না রাখা ভালো। ঘর পরিষ্কার রাখলে অন্য কিছু তুলে খেয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।
অভিভাবক হওয়া ও বাচ্চা মানুষ করা জীবনের একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় নিঃসন্দেহে। তার উপর বাচ্চা যতক্ষণ না হাঁটতে শেখে তা আরও চ্যালেঞ্জিং। এই সময় খাবার থেকে ঘুমানো- সবেতেই বাড়তি নজর দিতে হয়!