এই ওয়েলনেস ব্র্যান্ড একটি স্লিপ সার্ভের আয়োজন করেছিল। তাতে ভারত থেকে প্রায় ৫০০টি উত্তর জমা পড়েছে। ওই সমীক্ষাটিতে মূলত মানুষের ঘুমের ধরনের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মানুষের ঘুমের অভ্যাস এবং যেসব চ্যালেঞ্জের তাঁরা মুখোমুখি হন, তা বুঝতেই এই সমীক্ষা করা হয়েছে।
সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ৬৭ শতাংশ Gen Z জানিয়েছেন যে, তাঁরা আরও বেশি করে ঘুমোতে চান, যেখানে Gen Z উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য খ্যাত। এই ডিজিটাল যুগে কাজকর্মের চাপের পরেও একটু বেশি ঘুমোনোর ইচ্ছা তাঁদের মধ্যে থাকে। অর্থাৎ দ্রুত গতিশীল এই বিশ্বে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেন ভাল থাকা এবং কাজের পারফরমেন্সকেই।
advertisement
সাম্প্রতিক কিছু বছরে ঘুম না হওয়ার বিষয়টা যেন উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে এই সমস্যাটা দেখা যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। এমনকী এ-ও প্রমাণিত হয়েছে যে, ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সি মিলেনিয়ালরাও ঘুমের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। মিলেনিয়াল হলেন তাঁরাই, যাঁরা ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী। তাঁদের মূল সমস্যা হয় সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন: বেডরুমে ফ্রিজ রেখেছেন? গভীর রাতে আপনার ঘুমের সময়ে বড় বিপদ ডাকছে না তো! জানুন আজই
কম ঘুমের যে সমস্যা, তা এখন ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। ৩৮ শতাংশই এই ক্যাটাগরিতে পড়ছে। এমনটাই জানিয়েছে ওই ওয়েলনেস ব্র্যান্ড। আর ঘুমের প্যাটার্নের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়ে ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে। সেখানে প্রায় ৬৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কম ঘুমের জেরে নানা সমস্যায় পড়েন। এই উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল মাথা ধরা বা মাথা ব্যথা। এমনকী ঘুম না হওয়ার জেরে পরের দিন কাজের উৎসাহও থাকে না।
এই সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট যে, ভাল করে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কতটা! সমীক্ষা থেকে এ-ও জানা গিয়েছে যে, সাধারণ ঘুমের ব্যাঘাতের মধ্যে অন্যতম হল রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, এ-পাশ ও-পাশ করা এবং সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা। ঘুমের চক্রের মানের উপরেই প্রভাব ফেলছে এই প্যাটার্ন।