স্বাস্থ্যকর ডায়েট:
ডায়েটে বেশি পরিমাণে ফল, শাক-সবজি, গোটা শস্য এবং লিন প্রোটিন যোগ করতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি পানীয় এবং রেড মিট খাওয়ার উপর লাগাম টানতে হবে।
advertisement
নিয়মিত শারীরিক কসরত:
সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট করে মাঝারি তীব্রতার এরোবিক এক্সারসাইজ করা উচিত। অথবা ৭৫ মিনিটের অত্যন্ত তীব্র এক্সারসাইজ করতে হবে। পেশি মজবুত করার জন্য এই তালিকায় যোগ করতে হবে স্ট্রেংথ ট্রেনিং এক্সারসাইজও।
সঠিক ওজন:
ব্যালেন্সড ডায়েট এবং প্রতিদিন এক্সারসাইজের মাধ্যমে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অতিরিক্ত ওজন কিংবা ওবেসিটি কিন্তু বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
আরও পড়ুন: সুস্থ হতেই প্রেমিকাকে নিয়ে কোথায় গেলেন রুবেল? নেটপাড়ায় একেবারে হইহই কাণ্ড
মদ্যপানে রাশ টানা:
সুরাপ্রেমী হলে সীমিত পরিমাণে মদ্যপান করা আবশ্যক। প্রতিদিন যদি কেউ মদ্যপান করেন, তাহলে একটাই ড্রিঙ্ক করা উচিত। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করলে স্তন, লিভার-সহ আরও নানা ক্যানসারের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে:
ধূমপান কিংবা তামাকজাত দ্রব্যের সেবন এড়িয়ে চলাই ভাল। এমনকী পরোক্ষ ভাবে সেই ধোঁয়ার সংস্পর্শে এলেও ঝুঁকি বেড়ে যায়। ফুসফুস এবং জরায়ুমুখ ক্যানসারের মূল কারণ ধূমপান।
রোদ থেকে সুরক্ষা:
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন মাখতে হবে। এর সঙ্গে শরীর ঢাকা পোশাক পরতে হবে এবং রোদচশমাও ব্যবহার করতে হবে। ট্যানিং বেড এড়িয়ে চলতে হবে। এমনকী কড়া রোদে বাইরে না বেরোনোই শ্রেয়। এতে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যাবে।
ভ্যাকসিন:
এইচপিভি ভ্যাকসিন নেওয়া আবশ্যক। কারণ এই ভাইরাসই সার্ভাইক্যাল এবং অন্যান্য ক্যানসারে জন্য দায়ী। আর লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন নিতে হবে।
নিয়মিত স্ক্রিনিং এবং চেক-আপ:
বয়স এবং রিস্ক ফ্যাক্টর মেনে ক্যানসার স্ক্রিনিং করাতে হবে। এর জন্য মহিলাদের নিজেদের স্তন পরীক্ষা করতে হবে নিয়মিত ভাবে। এর পাশাপাশি ক্লিনিক্যাল স্তন পরীক্ষা, ম্যামোগ্রাম, প্যাপ স্মিয়ার ও এইচপিভি টেস্টিং এবং কলোরেক্টাল ক্যানসার স্ক্রিনিংও জরুরি। পরিবারে এই রোগের ইতিহাস রয়েছে কি না, সেটাও আলোচনা করতে হবে।
স্তনের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা:
স্তনে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসছে কি না, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। নিয়মিত ক্লিনিক্যাল স্তন পরীক্ষা এবং ম্যামোগ্রাম করা আবশ্যক।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
মানসিক চাপ কাটাকে যোগাভ্যাস, মেডিটেশন অথবা কাউন্সেলিং করাতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়াটাও কিন্তু জরুরি। ক্রমাগত মানসিক চাপ ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দিতে পারে।
পরিবেশগত এক্সপোজার:
পরিবেশের বিষাক্ত পদার্থ বা টক্সিন থেকেও দূরে থাকতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল পেস্টিসাইড বা কলকারখানা থেকে নির্গত রাসায়নিক।