সময় বার করা:
আচমকা একেবারে ধূমপান ছাড়া যাবে না। তার পরিবর্তে বরং একটা সময় বেছে নিতে হবে। আর প্রতিদিন সকালে উঠে নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, ‘আমি আর কখনও ধূমপান করব না’। আর এই প্রতিজ্ঞাটা রাখার চেষ্টা করা উচিত। এভাবে প্রতিদিন বিষয়টার পুনরাবৃত্তি করা উচিত।
আরও পড়ুন: গরমে অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা! সুরক্ষার কৌশল জানালেন চিকিৎসকরা, জানুন কী তাঁদের পরামর্শ
advertisement
নিজের লক্ষ্য:
কেন ধূমপান ছাড়ব - এটা নিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। বাথরুমের আয়নায় একটা নোট আটকাতে হবে কিংবা ফোনেও রিমাইন্ডার সেট করতে হবে। এতে নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকা যায়।
ট্রিগার সনাক্তকরণ:
কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ধূমপানের ইচ্ছে চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। মানসিক চাপ, একঘেয়েমি এমনকী বন্ধুদের আড্ডা - এসব ক্ষেত্রেই সেই ইচ্ছেটা সাধারণ চাগাড় দেয়। এই ট্রিগারগুলিকে সনাক্ত করে তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
সমর্থন:
ধূমপান ত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা পরিবার ও বন্ধুদের জানাতে হবে। ফলে তাঁদের থেকেও সাহায্য চাওয়া যেতে পারে। এমনকী ডাক্তার অথবা কাউন্সিলরদেরও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।
ব্যস্ত:
ধূমপানের অভ্যেস ত্যাগ করার একটা উপায় হল হাত দু’টোকে নানা কাজে ব্যস্ত রাখা। এর জন্য স্ট্রেস বলে চাপ দেওয়া কিংবা কোনও বোর্ড গেমন খেলা যেতে পারে।
নিজেকে পুরস্কার:
ধূমপান ত্যাগ কিন্তু বড়সড় কৃতিত্বের বিষয়। আর এটা করতে পারলে নিজেকে বড় কোনও উপহার দেওয়া যেতে পারে। তবে মাথায় রাখতে হবে, এমন কিছু উপহার দেওয়া উচিত নয়, যা ধূমপান সম্বন্ধীয়।
হাল ছাড়লে হবে না:
ধূমপান ত্যাগ অনেকটা লম্বা সফরের মতো। নানা সমস্যাও আসতে পারে। অনেক সময় না চাইলেও অভ্যেসবশত সিগারেট খেয়ে ফেলেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু হাল ছাড়া চলবে না।