স্ট্রোকের জেরে কথা বলতে কিংবা বুঝতে সমস্যা দেখা দেবে। সেই সঙ্গে বিভ্রান্তি তো থাকেই। তীব্র মাথা ব্যথা, আচমকা মাথা ঘোরানো, কথা জড়িয়ে আসা, ঝাপসা দৃষ্টিশক্তি, আচমকা অবশভাব, দুর্বলতা অথবা মুখ-হাত-পায়ে প্যারালাইসিস প্রভৃতি। কখনও কখনও দেহের এক পাশে পক্ষাঘাত হতে পারে। তবে সাম্প্রতিক কয়েক বছরে রিহ্যাবিলিটেশন সায়েন্স উন্নত হয়েছে। যার ফলে রোগ নির্ণয়ে সুবিধা হচ্ছে আর রোগীরাও দ্রুত সেরে ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া রয়েছে কিছু কনভেনশনাল থেরাপি, যা স্নায়বিক অক্ষমতাকে হ্রাস করে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
advertisement
স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল থাকে। যেখানে থাকবেন নিউরো ফিজিশিয়ান, নিউরো সার্জন, নিউরো ফিজিওথেরাপিস্ট, অক্যুপেশনাল থেরাপিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্ট। এখানেই শেষ নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার জন্য থাকেন সাইকিয়াট্রিস্ট ও সাইকোলজিস্টদের নিয়ে গড়া মেন্টাল হেলথ টিমও। এছাড়াও রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে পুষ্টিবিদেরাও বড়সড় ভূমিকা পালন করে থাকেন। স্ট্রোক থেকে আরোগ্য লাভের ক্ষেত্রে উন্নত প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার যেন আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
এক এক জন রোগীর ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা চিকিৎসার ধরন অবলম্বন করা হয়ে থাকে। আর এর জন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা দলগত ভাবে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে থাকেন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মাল্টি-স্পেশালিটি ইন্টিগ্রেটেড টিম, সহকারী যন্ত্রপাতির ব্যবহার, রোবোটিক রিহ্যাবিলিটেশন টেকনোলজি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উন্নত মানের থেরাপির যন্ত্রপাতির মাধ্যমে স্ট্রোক থেকে সম্পূর্ণ রূপে সুস্থ হওয়া সম্ভব।
স্ট্রোকের কারণে মানসিক অবসাদ আসতে পারে। স্ট্রোক-পরবর্তী অবসাদের উপসর্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল বিষণ্ণতার অনুভূতি, অসহায়তা, খাবার কিংবা ঘুমে অনীহা ও বিরক্তি। স্ট্রোকের মতো ক্রনিক রোগের কারণে কার্যকারিতা কমে, যা অন্যান্য কো-মর্বিডিটির জন্য দায়ী। রিহ্যাবিলিটেশনের চক্র সম্পূর্ণ করার জন্য আজকের দিনে রিহ্যাব টেক খুবই উপযোগী। এআই ভিত্তিক প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এটা অন্যতম নিরাপদ বিকল্প হয়ে উঠেছে। স্ট্রোকের পরে সমস্যা কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী নিউরো-রিহ্যাবিলিটেশন অত্যন্ত জরুরি। স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্পাইনাল কর্ডের আঘাত কিন্তু জীবনের শেষ নয়। বর্তমানে বাধা থাকলেও উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা তা কাটিয়ে উঠতে পারি।