কারণ:
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্নায়ু দুর্বল হয়ে পড়া কিংবা নার্ভ পেনের বহু কারণ থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যানসার অথবা টিউমার, এইচআইভি, ডিজেনারেটিভ জয়েন্স কিংবা ডিস্ক রোগ ইত্যাদি। এছাড়াও, নির্দিষ্ট কিছু সংক্রমণ এবং ব্যাকটেরিয়া কারণে হওয়া ক্ষতির সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে স্নায়ুর উপরে। হরমোনাল ইমব্যালেন্স, কিডনি ও লিভারের রোগ প্রভৃতির কারণেও স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকী শরীরে টক্সিন জমলেও তা স্নায়ুর ক্ষতির জন্য দায়ী হতে পারে। এখানেই শেষ নয়, পুষ্টির অভাব অথবা অতিরিক্ত ধূমপান অথবা মদ্যপানের কারণেও স্নায়ুর ক্ষতি হয়।
advertisement
উপসর্গ:
শরীরের কোনও অংশে ব্যথা, অবশ ভাব কিংবা ঝিনঝিনে অনুভূতি কিন্তু এর অন্যতম প্রধান উপসর্গ। পেশি দুর্বলতা বিশেষ করে হাত-পায়ের পেশি, হাত থেকে বারবার জিনিস পড়ে যাওয়া, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, বৈদ্যুতিক শকের মতো অনুভূতিও নার্ভ পেনের উপসর্গ হতে পারে। এছাড়া মাথা ঘোরানো, অবসন্ন ভাব এবং অতিরিক্ত গরম লাগা প্রভৃতিও এর উপসর্গের মধ্যে অন্যতম।
প্রতিরোধ:
কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে স্নায়বিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠা যায়। কিংবা এই সমস্যা প্রতিরোধও করা যায়। স্নায়ু দুর্বলতা অথবা নার্ভ পেনের উপসর্গ দেখা গেলে তা চেপে না রেখে নিউরোলজিস্টের কাছে গিয়ে আলোচনা করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ব্যথার অংশে বরফ দিয়ে সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এতে রোগী অনেকটাই স্বস্তি পান। সেই সঙ্গে প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিশ্রামেরও। এর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম এবং যোগাভ্যাস করতে হবে। তবে নিউরোলজিস্ট প্রাণায়াম করার পরামর্শও দিয়ে থাকেন।