বর্তমানে ভারতে প্রায় ১.৬৫ মিলিয়ন এই অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিস (AS) রোগের শিকার। প্রতি বছর ২.৯৫ শতাংশ হারে এটি বেড়ে চলেছে, এর ফলে ২০২৮ সালের মধ্যেই প্রায় ২ মিলিয়ন ভারতীয় এই রোগের শিকার হবে। এর মধ্যে শুধুমাত্র কলকাতাতেই এর সংখ্যা হবে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ।
আরও পড়ুন- CoWIN থেকেই এখন ডাউনলোড করা যাবে ইন্টারন্যাশনাল ট্র্যাভেল সার্টিফিকেট; জেনে নিন কী ভাবে
advertisement
২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যেই সবথেকে বেশি এই রোগ দেখা যায়। মহিলাদের থেকে প্রায় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি পুরুষদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এই রোগের শুরুতে শুধুমাত্র ব্যাক পেইন হয়, যা অনেকেই হালকা ভাবে নেয় এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করে না। এই অবহেলার ফলে তাদের স্পাইনের পজিশন বদলে গিয়ে তা মারাত্মক ক্ষতির সৃষ্টি করে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এই রোগের কয়েকটি লক্ষণ-
অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিস রোগের লক্ষণ
- প্রতি দিন সকালে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে শরীরের লোয়ার ব্যাকে পেইন ও স্টিফনেসের সমস্যা হবে।
- চিকিৎসা করেও, প্রায় ৯০ দিন ধরে শরীরের ব্যাকে পেইন ও স্টিফনেসের সমস্যা হবে।
- আচমকাই শরীরের ব্যাক এবং জয়েন্টে পেইন-এর সমস্যা হবে।
কলকাতার অ্যাপোলো গ্লেনেগলস হসপিটালের (Apollo Gleneagles Hospital) রিউমেটালজিস্ট (Rheumatologist) ডাক্তার শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় (Dr. Syamasis Bandyopadhyay) জানিয়েছেন, ‘‘প্রতি মাসে আমাদের হাসপাতালে প্রায় ২৫০টি অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিসের কেস আসে। কলকাতাতেই এর সংখ্যা প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ হলেও এখনও অনেকে এটাকে শুধুমাত্র ব্যাক পেইন বলে অবহেলা করে। প্রথমেই এর চিকিৎসা না করে অনেক দেরি করে তা শুরু করে সৃষ্টি করে জটিলতা। কিন্তু সময় মতো এই রোগের চিকিৎসা করলে সহজেই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়"।
আরও পড়ুন- কেন খাবেন নিরামিষ খাবার? রয়েছে স্বাস্থ্য থেকে অর্থ, জানুন
অ্যাঙ্কিলুজিং স্পন্ডিলাইটিসের ফলে শরীরের স্পাইন এবং তার জয়েন্ট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেক দিন ধরে এই রোগ থাকলে স্পাইন ফ্র্যাকচার হতে পারে। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন নার্ভ ড্যামেজ হয়ে কমিয়ে দিতে পারে ফ্লেক্সিবিলিটি। তাই সময় নষ্ট না করে অবলম্বে এই রোগের চিকিৎসা করা দরকার।