ভারতে মুখের ক্যানসার উদ্বেগে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় পুরুষদের সবথেকে সাধারণ ক্যানসার এটিই। আসলে যাঁরা তামাকজাত দ্রব্য, পান মশলা, সুপারি অথবা অ্যালকোহল সেবন করেন, তাঁরাই ঝুঁকির আওতায় থাকে। তবে রোগ দ্রুত ধরা পড়লে চিকিৎসায় সাফল্যের হার বৃদ্ধি পায়।
দাঁত মাজার পরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখ পরীক্ষা করার উপায়:
advertisement
মুখগহ্বরে গালের ভিতরের অংশটিকে পরিষ্কার হাত দিয়ে টেনে ধরতে হবে। রঙ এবং টেক্সচারে কোনও বদল এলে তা দেখতে হবে ভাল করে।
উপর-নিচের ঠোঁটের ভিতর দিকের অংশে অস্বাভাবিকতা আছে কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে।
জিহ্বার উপরিভাগ, নিচের অংশ এবং জিহ্বার দুই পাশ ভাল করে পরীক্ষা করা উচিত।
সব শেষে মুখের টাকরার অংশটি পরীক্ষা করা আবশ্যক।
আরও পড়ুন- ডিপ ফ্রিজে অতিরিক্ত বরফ জমছে? এখনই ঠিক না করলে কিন্তু চরম বিপদে পড়বেন, সাবধান!
কী কী লক্ষ্য করা উচিত?
সাধারণত ওরাল মিউকোসায় থাকে গোলাপি রঙের আভা। আর স্পর্শ করলে কোমলভাব অনুভূত হবে। কোন বিষয়গুলি বিপদসঙ্কেত বয়ে আনে, তা নিম্নোক্ত:
অস্বাভাবিক সাদা অথবা লাল রঙের দাগ হল বিপদের প্রথম উপসর্গ।
আলসার যদি ১-২ সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তাহলে সেটা উদ্বেগের অন্যতম কারণ হতে পারে।
আরও পড়ুন-‘ভয়ঙ্কর মানুষ! ওর জেলে যাওয়া উচিত’, এই বিশেষ কারণেই রাজকে ডিভোর্স দিলেন পরী, ফাঁস হল কারণ
কাদের ঝুঁকি বেশি?
যাঁরা ধূমপান কিংবা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন।
যাঁরা সুপারি, তামাক মুখে চিবিয়ে খান।
যাঁরা পান মশলা সেবন করেন।
অতিরিক্ত অ্যাসকোহল সেবন করেন যাঁরা।
প্রতিরোধ এবং দ্রুত রোগ নির্ণয়ের উপায়:
নিয়মিত মুখ গহ্বর পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এটাই মুখের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার প্রথম ধাপ। নিজেই পরীক্ষা করার পরে একজন বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। নিয়মিত দাঁত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। আর সেই সঙ্গে মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য বজায় রাখা জরুরি।
সচেতনতার প্রচার:
বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে এই তথ্য ভাগ করে নিতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত মুখ পরীক্ষা করতে হবে। আর দ্রুত রোগ নির্ণয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হবে।