প্রতিরোধের উপায়:
হেপাটাইটিস বি যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সবথেকে কার্যকরী উপায় হল ভ্যাকসিনেশন। হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ রূপে ঝুঁকিমুক্ত, ভরসাযোগ্য। আর এটা সদ্যোজাত শিশুদের মধ্যে ইমিউনিটিও বৃদ্ধি করে। গর্ভবতী মহিলাদের হেপাটাইটিস বি পজিটিভ কি না, সেটা চিহ্নিত করে চিকিৎসা করা আবশ্যক। এতে শিশুর জন্মের সময় রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।
advertisement
দ্রুত রোগ নির্ণয়:
হেপাটাইটিস বি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত রোগ নির্ণয় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রিনেটাল কেয়ার চলাকালীন গর্ভবতী মহিলাদের হেপাটাইটিস বি সারফেস অ্যান্টিজেন রুটিন স্ক্রিনিং আবশ্যক। সদ্যোজাতদের জন্মের ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া উচিত।
চিকিৎসা:
হেপাটাইটিস বি থেকে সম্পূর্ণ রূপে মুক্তি পাওয়ার জন্য উচ্চ মানের সাশ্রয়ী চিকিৎসা অত্যন্ত জরুরি। মায়ের দেহ থেকে শিশুর দেহে যাতে রোগ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি দেওয়া উচিত। তাই সব জায়গায় যাতে হেপাটাইটিস বি-এর চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখাও দরকার।
জনস্বাস্থ্য কৌশল:
হেপাটাইটিস বি ঠেকানোর জন্য জনস্বাস্থ্য কৌশলের উপর বারবার জোর দিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে অন্যতম হল- সকলের মধ্যে এই সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, রোগ পরীক্ষা, টিকাদান কর্মসূচি ইত্যাদি। সেই সঙ্গে মা এবং শিশুর জন্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মসূচি অভিযানও চালানো আবশ্যক।