TRENDING:

Heart Disease: মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের প্রবণতা, কীভাবে সুস্থ থাকবেন? জানাচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক

Last Updated:

সম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-র করা এক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে ভারতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের প্রায় ১৮.৬৯ শতাংশ হাইপার টেনশনে ভোগেন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
হৃদরোগ শুধু পুরুষের হয়— এমন ধারণা ভেঙে বেরনোর সময় এসেছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে-র করা এক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে ভারতে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী মহিলাদের প্রায় ১৮.৬৯ শতাংশ হাইপার টেনশনে ভোগেন। সব থেকে বড় কথা, এঁদের কথা জানা যায় না, কারণ কেউ চিকিৎসকের কাছে যান না।
advertisement

শুধু এই সমীক্ষাই নয়, আরও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষা থেকেও উঠে এসেছে একই তথ্য। সারা বিশ্বেই ক্রমশ বাড়ছে মহিলাদের হৃদরোগের সংখ্যা। এমনকী তার মারণ ক্ষমতা স্তন ক্যানসারের থেকে প্রায় ১০ গুণ বেশি। সেই সঙ্গে রয়েছে অসচেতনতা, যা পরিস্থিতি আরও গুরুতর করে তোলে। ফলে মহিলাদের স্বাস্থ্য নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ। এসম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক অ্যাস্টর সিএমআই হাসপাতাল বেঙ্গালুরুর ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক প্রদীপ কুমার ডি-র কাছ থেকে

advertisement

মহিলাদের হৃদরোগের উপসর্গ:

এর কারণ অনেকাংশেই সামাজিক বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। আজও ভারতীয় মহিলারা নিজের কথা ভাবার আগে পরিবারের কথা ভাবেন, অন্যরাও তেমন ভাবতেই অভ্যস্ত। তাই বুকে সামান্য চাপ বা ব্যথার মতো উপসর্গ তাঁরা দিনের পর দিন উপেক্ষা করে যান। চিকিৎসকের কাছে যখন যান, তখন দেরি হয়ে যায়।

advertisement

মহিলা ও পুরুষের ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গও আলাদা। পুরুষের মতো প্রবল বুকে ব্যথা, ঘাম ইত্যাদি উপসর্গ প্রায় দেখাই যায় না মহিলাদের মধ্যে। অনেক মহিলা জানতেই পারেন না ইতিমধ্যেই তাঁরা দু’একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মহিলাদের হৃদরোগ সাধারণত খুব মৃদু হয়, তা বারবার আঘাত করে। চোয়ালে ব্যথা, ক্লান্তি, ঘাড় ও পিঠে ব্যথা, বুক জ্বালার মতো সমস্যা থাকলেই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা প্রয়োজন।

advertisement

অ্যাস্টর সিএমআই হাসপাতাল বেঙ্গালুরুর ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট চিকিৎসক প্রদীপ কুমার ডি

বয়সকাল:

সাধারণত ৪৫-৫৫ বছর বয়সী মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেনোপজ পরবর্তীকালে ইস্ট্রোজেন কমে যাওয়া একটা বড় কারণ। এর পাশাপাশি কাজের চাপ, পারিবারিক সম্পর্ক জনিত মানসিক চাপ, একাকিত্ব, শরীরচর্চার অভাবে স্থূলতাও রোগের কারণ হতে পারে।

advertisement

ষাটোর্ধ্ব মানুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ নিরপেক্ষ ভাবে কোলেস্টেরোল বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা, অলস জীবন, ডায়াবেটিস-সহ নানা কারণে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে।

সতর্কতা:

- হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণগুলি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

- ধূমপান ও তামাক বর্জন করতে হবে।

- দিনে অন্তত ৩০-৪৫ মিনিট যোগ ব্যয়াম, নাচ, দৌড়, হাঁটার মতো শরীরচর্চা করা প্রয়োজন।

- জাঙ্ক ফুড, ঠান্ডা পানীয় বর্জন করে সুখাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। সুস্থ হৃদয়ের জন্য কমপ্লেস কার্বোহাইড্রেট, শিম জাতীয় সবজি, ফল, সবুজ শাকসবজি প্রয়োজন। খাদ্যে শর্করা, লবণ, ফ্যাটের পরিমাণ কমাতে হবে।

- সব থেকে বড় কথা হল, সুস্বাস্থ্যের জন্য যে কোনও লিঙ্গের একই রকম যত্নের প্রয়োজন। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Heart Disease: মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের প্রবণতা, কীভাবে সুস্থ থাকবেন? জানাচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল