জার্মানির হামবুর্গ এপ্পেনডরফের ইউনিভার্সিটি হার্ট অ্যান্ড ভাস্কুলার সেন্টারের গবেষক রেনাতে স্কনাবেল বলেছেন যে এর আগে হার্টের কোনও অসুখ হলেই 'ওয়ান গ্লাস অফ ওয়াইন আ ডে' গোছের পরামর্শ দেওয়ার একটা রেওয়াজ ছিল। কিন্তু এখন হার্টের নানা অসুখের কথা চিন্তাভাবনা করে, ধমনীর অবস্থা দেখে এবং অবশ্যই আট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের আশঙ্কা কতটা- সেই সমস্ত দেখে তবেই এরকম কোনও পরামর্শ দেওয়া উচিৎ। আগে ধরেই নেওয়া হত যে যাঁরা প্রতি দিন ওয়াইন পান করেন, তাঁদের হার্টের অসুখ হয় না। এই ধারণা ঠিক নয়। কারণ এর সঙ্গে অনেক ঝুঁকি এবং ভারসাম্যের বিষয় জড়িত আছে।
advertisement
একটি দীর্ঘ সমীক্ষার পর এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৮২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত অন্তত ১, ০৭,৮৪৫ জনের উপরে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। এঁদের নানা রকম মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে এবং এঁরা এই সমীক্ষায় যোগদান করার পর মেডিক্যাল হিস্ট্রি অর্থাৎ এর আগে নানা রোগ ও তার চিকিৎসার ইতিহাস খুব ভালো ভাবে খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে। তার সঙ্গে এটাও দেখা হয়েছে যে এঁদের জীবনযাত্রা কেমন ছিল, এঁরা কতটা মদ্যপান করতেন বা তামাকজাত জিনিস খেতেন, এঁরা কী ধরনের চাকরি বা কাজ করতেন! এঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা, সেটাও খতিয়ে দেখা হয়েছে।
যাঁদের গড় বয়স ৪৮ বছর (২৪ থেকে ৯৭ এর মধ্যে)- এরকম ১,০০, ০৯২ জনের আট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন দেখা যায়নি। কিন্তু ৫, ৮৫৪ জন বিগত প্রায় ১৪ বছরে আট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের শিকার হয়েছেন। মহিলা এবং পুরুষের ক্ষেত্রে এটি সমান অর্থাৎ সবারই অ্যালকোহল ও অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের জন্যই আট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন দেখা দিয়েছে। অতএব চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে নিয়মিত ওয়াইন খাওয়ার ব্যাপারে নিজে থেকে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়াই ঠিক হবে!