কখন পায়ের যত্ন নেবেন?
১) ডায়াবিটিকদের পা কোনও কারণে কেটে গেলে বা ফোষ্কা পড়লে বা র্যাশ বেরোলে
২) কোনও কারণে যদি পায়ের স্বাভাবিক রঙের বদল ঘটে, মানে ফ্যাকাশে বা লালচে হয়ে যায়
৩) পা অসাড় হয়ে পড়লে
৪) পায়ের ত্বক রুক্ষ হলে বা ফেটে গেলে
৫) আবহাওয়ার তাপমাত্রার তারতম্য হলে
advertisement
৬) আঙুলের ফাঁকে কোনওরকম সংক্রমণ দেখা দিলে
৭) পায়ে কড়া পড়লে সাবধান! ভুলেও ধারালো কিছু দিয়ে কাটাকাটি বা খোঁচাখুঁচি করবেন না
৮) পা ব্যথা করলে, বা হঠাৎ ফুলে গেলে
কীভাবে পায়ের যত্ন নেবেন?
১) নিয়মিত পা পরিষ্কার করুন
২) রোজ ভাল করে পায়ের পাতা পর্যবেক্ষণ করুণ। দেখুন কিছু অস্বাভাবিক লাগছে কীনা! মানে ফোলাভাব বা রঙের বদল
৩) সব জায়গায় খালি পায়ে হাঁটবেন না
৪) নিয়মিত পায়ের নখ পরিষ্কার করুন। বড় নখ রাখবেন না
৫) মাপসই জুতো পরবেন। হাই-হিল এড়িয়ে চলুন
৬) নরম সোলের জুতো বাছুন
৭) সন্ধেবেলার দিকে জুতো কিনতে যাওয়ার চেষ্টা করুন। সূর্যাস্তর পরেই পায়ের পাতার মাপ ও গড়ন নির্ভুল থাকে। সকালের দিকে সামান্য বাড়া-কমা করে
৮) পায়ে লোশন লাগান। তবে, লক্ষ্য রাখবেন, আঙুলের ফাঁকে যেন লেগে না থাকে
৯) একটানা বেশিক্ষণ পায়ের উপর প্রেশার দেবেন না। দাঁড়ানো বা হাঁটার সময় সমানভাবে পায়ের পাতা ফেলুন
১০) বছরে অন্তত একবার পাডাইয়াট্রিকের কাছে গিয়ে পা পরীক্ষা করান। প্রেশার চেক করাতে ভুলবেন না
১১) আরামদায়ক মোজা পরুন। সুতি হলেই ভাল। কখনওই যেন আঁটসাঁট না হয়
১২) নখ খুব পুরু হয়ে গেলে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন
১৩) অনেকসময়ে পায়ের তলায় চামড়ার মোটা স্তর পড়ে, ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলে কেলাস। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
১৪) কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ভাল করে সাবান জল দিয়ে পা ধুয়ে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। কখনওই যেন আঙুলের ফাঁকে জল না থাকে