ডা. চৌরাসিয়া বলেন, প্রথমে সূর্যের প্রখর তাপের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। তাই যতটা সম্ভব দিনের বেলায় ঘরেই থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। যদি নিতান্ত প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেও হয়, তার জন্য টুপি, ছাতা, হালকা সুতির স্কার্ফ ব্যবহার করতে হবে। আর এই সময় খাওয়াদাওয়ার বিষয়েও বিশেষ খেয়াল রাখার কথাও বলেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
advertisement
আরও পড়ুন : শৈশবেই কোটিপতি! ১১ বছর বয়সে ৪১০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এই খুদে ইউটিউবার
ডা. চৌরাসিয়ার কথায়, এই তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য মশলাদার ভারী খাবারের পরিবর্তে তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই সময় লেবু জল, শিকঞ্জি, আম পান্না, লস্যি, বাটার মিল্ক বেশি করে খেতে হবে। অর্থাৎ শরীর ঠান্ডা এবং সতেজ রাখতে সহায়ক খাবার ও পানীয়গুলি মূলত ডায়েটে যোগ করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হল আমলকি এবং কাঁচা পেঁয়াজ। তবে আইসক্রিম এবং ঠান্ডা পানীয় এই গরমের সময় বেশি না খাওয়াই ভাল। এতে আবার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। আসলে গরমের দিনে শুধুই টাটকা-তাজা এবং সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত।
এখানেই শেষ নয়, গ্রীষ্মের মরশুমে গাঢ় রঙের পোশাক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তারবাবু। ডা. চৌরাসিয়ার পরামর্শ, এই সময় হালকা রঙের সুতির পোশাক পরতে হবে। শারীরিক পরিশ্রম যতটা পারা যায়, এড়িয়ে চলতে হবে। অতিরিক্ত এক্সারসাইজ থেকে বিরত থাকা উচিত। এই সময় যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়াম করা যেতে পারে। আর গরমের হাত থেকে বাঁচতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমেরও। জল খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। কোথাও বেরোলে সঙ্গে করে পর্যাপ্ত জল নিয়ে যেতে হবে। এই সহজ উপায়গুলি অবলম্বন করলেই তাপপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।