ডায়েট ও বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই):
প্রজনন স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর এবং বৈচিত্র্যময় খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। পুরুষদের মধ্যে অ্যালবুমিন, সেরুলোপ্লাজমিন এবং ফেরিটিন প্রভৃতির মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শুক্রাণুর মান উন্নত করতে সহায়ক। আবার মহিলাদের ক্ষেত্রে ওভ্যুলেশনের উপর বড়সড় প্রভাব ফেলে ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফার্টিলিটির জন্য সেরা খাবারের মধ্যে পড়ে উচ্চ পরিমাণ ভেজিটেবল প্রোটিন, গ্লাইসেমিক অথবা মিষ্টি খাবারের পরিমাণ হ্রাস, নির্দিষ্ট কিছু মাল্টিভিটামিন। এতে ওভ্যুলেশন সংক্রান্ত সমস্যার হার কমে। আবার দৈহিক ওজন এবং বিএমআই-ও ফার্টিলিটির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিএমআই অত্যন্ত বেশি হলে পুরুষদের ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের মতো সমস্যা দেখা দেয় এবং শুক্রাণুর মানও পড়ে যায়। আবার মহিলাদের ক্ষেত্রে বিএমআই বেশি থাকলে তার প্রভাব ওভ্যুলেশনের উপর পড়ে।
advertisement
ধূমপান:
ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়ে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল। সমীক্ষআয় দেখা গিয়েছে যে, সিগারেটের ধোঁয়ায় চার হাজারেরও বেশি রাসায়নিক বর্তমান। পুরুষ ধূমপায়ীদের শুক্রাণুর সংখ্যা এমনকী প্রজনন ক্ষমতাও হ্রাস পায়। আবার মহিলাদের ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা হ্রাস পায়। ডিম্বাশয়ের পাশাপাশি ফ্যালোপিয়ান টিউব, জরায়ু কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। এমনকী হরমোনের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। যার ফলে বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও দেখা দেয়।
মানসিক প্রভাব:
এক্ষেত্রে মানসিক চাপ বা স্ট্রেসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসলে শারীরিক, সামাজিক ও মানসিক বিষয়ের কারণেই এটা হয়। সামাজিক চাপ, নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা, ব্যর্থতা, উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়া, আর্থিক ব্যয় সব কিছুই এর সঙ্গে যুক্ত। আর স্ট্রেস ও ডিপ্রেশনের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা হ্রাস পায়। আবার মানসিক চাপ প্রায় ৩০ শতাংশ মহিলার উপর প্রভাব ফেলে। স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে উসাইটের ফার্টিলাইজেশন হ্রাস পায়। তবে সঠিক কাউন্সেলিং ও সহায়তা পেলে মহিলারা সহজেই অন্তঃসত্ত্বা হতে পারেন। মনে রাখতে হবে যে, সন্তানধারণের ক্ষেত্রে মনটাকে ইতিবাচক রাখা বাঞ্ছনীয়।