TRENDING:

এন্ডোমেট্রিওসিস এবং সফল গর্ভধারণ! আদৌ সম্ভব কিনা জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে

Last Updated:

এন্ডোমেট্রিওসিস এমন একটি রোগ যাতে জরায়ুর ভিতরে থাকা এন্ডোমেট্রিয়াম টিস্যু জরায়ুর বাইরে ও পেলভিক অংশের নানা অঙ্গে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: এন্ডোমেট্রিওসিস কী, কেন এটি বিশ্বের সমস্ত শ্রেণির মহিলাকে আঘাত করে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে সকলের মধ্যে। বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক বেঙ্গালুরুর ফোর্টিস হাসপাতালের প্রবীণ অবস্টেট্রিসিয়ান ও গায়নোকলজিস্ট চিকিৎসক অরুণা মুরলিধরের কাছ থেকে
advertisement

এন্ডোমেট্রিওসিস এমন একটি রোগ যাতে জরায়ুর ভিতরে থাকা এন্ডোমেট্রিয়াম টিস্যু জরায়ুর বাইরে ও পেলভিক অংশের নানা অঙ্গে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এর ফলে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, ব্যাপক রক্তক্ষরণ এমনকী বন্ধ্যাত্বও তৈরি হতে পারে। যাঁরা এন্ডোমেট্রিওসি-এ ভুগছেন আবার মাতৃত্বও চাইছেন তাঁদের বুঝতে হবে, এটি কী ভাবে প্রজননের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এবং কী ভাবে সফল গর্ভধারণ করা যেতে পারে।

advertisement

এন্ডোমেট্রিওসিস-এর সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে প্রজননের উপর। গবেষণা বলছে, এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত মহিলার প্রায় ৫০ শতাংশের ক্ষেত্রেই গর্ভধারণে সমস্যা হয়। যেখানে স্বাভাবিক মহিলাদের ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ১০ শতাংশ।

সঠিক কারণ জানা না গেলেও মনে করা হয় এই কোষকলার অতিরিক্ত বৃদ্ধি ডিম্বস্ফোটন, নিষেক এবং গর্ভসঞ্চারে বাধা দিতে পারে। পাশাপাশি এটি পেলভিক অংশে প্রদাহ তৈরি করতে পারে। ফলে সন্তানধারণে সমস্যা হতে পারে।

advertisement

চিকিৎসা:

এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত কোনও মহিলা গর্ভধারণ করতে চাইলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন,

ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট:

ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন বা IVF অথবা ইনট্রাইউটেরিন ইনসেমিনেশন বা IUI-এর মতো চিকিৎসা রয়েছে।

ল্যাপেরস্কোপিক সার্জারি:

অনেক ক্ষেত্রে ল্যাপেরোস্কোপিক সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। এর সাহায্যে বর্ধিত টিস্যু পরিষ্কার করে দেওয়া যায় যাতে গর্ভধারণে কোনও সমস্যা না হয়।

advertisement

হরমোন থেরাপি:

হরমোন প্রয়োগ করেও এন্ডোমেট্রিয়াল টিস্যুর বৃদ্ধি রোধ করা এবং পেলভিক অংশের প্রহাহ সারিয়ে তোলা সম্ভব। এতে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

গর্ভধারণ ও এন্ডোমেট্রিএসিস:

এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলেই যে গর্ভধারণ অসম্ভব এমন নয়। অনেকেই সুস্থ ভাবে গর্ভধারণ করেন ও সন্তানের জন্ম দেন। যদিও সেক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকা দরকার। এই ধরনের সমস্যা সেখানে তৈরি হতে পারে—

advertisement

গর্ভপাত:

এন্ডোমেট্রিওসিস থাকলে গর্ভপাতের ঝুঁকি একটু বেশিই থাকে। বিশেষত যাঁদের খুব বেশি রকমের এন্ডোমেট্রিওসিস রয়েছে বা চিকিৎসা চলছে।

সময়ের আগেই জন্ম:

প্রসূতি এন্ডোমেট্রিওসিসে ভুগলে সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।

সি-সেকশন ডেলিভারি:

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত বা চিকিৎসাধীন কোনও গর্ভবতী মহিলার সি-সেকশন করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

পেলভিক পেন:

গর্ভাবস্থায় এন্ডোমেট্রিওসিস-এর কারণে ব্যথা হতে পারে, বিশেষত দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে।

আরও পড়ুনঃ Health Tips: ঘাড়ের পিছন থেকে মাথা ব্যথা করে! এই রোগটি বাসা বাঁধেনি তো আপনার শরীরে? জানুন

এন্ডোমেট্রিওসিস আক্রান্ত মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় পেলভিক অংশে সমস্যা তৈরি হতে পারে। যা গর্ভাবস্থাকে জটিল করে তোলে।

তবে সঠিক চিকিৎসা হলে এন্ডোমেট্রিওসিসে আক্রান্ত বেশির ভাগ মহিলাই সুস্থ ভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। ভয়ের কারণ নেই।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
এন্ডোমেট্রিওসিস এবং সফল গর্ভধারণ! আদৌ সম্ভব কিনা জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল