প্রস্রাবের সবথেকে সাধারণ অস্বাভাবিকতা হল তা অনেক সময় ঘোলাটে হয়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এটা হতে পারে ডিহাইড্রেশন, মূত্রনালির সংক্রমণ, পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রস্টেটে কিংবা মহিলাদের ক্ষেত্রে যোনিপথে প্রদাহ, যৌনবাহিত সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর, ডায়েটের সমস্যা প্রভৃতি কারণে। এই সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য খাদ্য সংক্রান্ত জ্ঞান থাকা বাঞ্ছনীয়। তার পরেও সমস্যা সমাধান না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন বেঙ্গালুরুর রিচমন্ড রোডের ফর্টিস হাসপাতালের ওবেস্টেট্রিকস এবং ইউরো গাইনিকোলজির সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. রুবিনা শাহানওয়াজ জেড।
advertisement
নোনতা খাবার:
প্রক্রিয়াজাত চিপস, ক্যানে সংরক্ষিত খাবার এবং কিওর্ড মিটে লবণ বা নুনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি হয়। অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার খাওয়া ও অপর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করার কারণে ডিহাইড্রেশন এবং ঘোলাটে প্রস্রাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উচ্চ ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ:
প্রতিটি প্যাকেটজাত খাদ্য সামগ্রীতেই আজকাল এই উপকরণটি যোগ করা হয়। বিশেষ করে মিষ্টি সোডা কিংবা মিষ্টি খাবারে এই উপাদান থাকবেই। আর অতিরিক্ত পরিমাণে এই উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে ইউরিক অ্যাসিড নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ে। ফলে প্রস্রাবও হয় ঘোলাটে।
দুগ্ধজাত খাবার:
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে ফসফরাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে প্রস্রাবও ঘোলাটে হয়ে যায়। আর কিডনির রোগে আক্রান্ত থাকলে তো কথাই নেই! সমস্যা উত্তরোত্তর বাড়ে।
মাংস:
রেড মিট এবং পোলট্রিজাত মাংস অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে ফসফরাসের নিঃসরণও বৃদ্ধি পায়। যা অতিরিক্ত লবণের সঙ্গে মিশে প্রক্রিয়াজাত মাংসের রূপ নেয়। এতে প্রস্রাব আরও ঘোলাটে হতে শুরু করে।
সামুদ্রিক খাবার:
সার্ডিন-সহ কিছু নির্দিষ্ট ধরনের সামুদ্রিক মাছে উচ্চ পরিমাণে পিউরিন থাকে। যা বিপাকের মাধ্যমে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। ফলে প্রস্রাবের রঙে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়।
অ্যালকোহল:
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। ফলে প্রস্রাবের রঙের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসে।
ক্যাফিন:
অতিরিক্ত কফি, চা খেতে ভাল লাগে? এমনটা হলে বিপদ! কারণ কফি, ব্ল্যাক এবং গ্রিন টি-র মধ্যে থাকে ক্যাফিন। যা ডিহাইড্রেশনের জন্য দায়ী। এতে প্রস্রাব ঘোলাটে হয়ে যেতে পারে।