এর মধ্যে অন্যতম হল স্টেরিলাইজেশন। এটা অত্যন্ত কার্যকরী। সার্জিক্যাল স্টেরিলাইজেশনের ক্ষেত্রে টিউবগুলির সংযোগ আসলে বিচ্ছিন্ন করা হয়। সেই সঙ্গে টিউবগুলিকে বেঁধেও দেওয়া হয়। যাতে ডিম্বাণু এবং শুক্রাণুর মিলন না ঘটে। তবে টিউবেক্টোমি সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। যা কাটানোর জন্য গাইনিকোলজিস্টের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আবার হরমোনাল কন্ট্রাসেপশন বিভিন্ন ধরনের হয়। এই তালিকায় পড়ে ওরাল পিল, ইমপ্ল্যান্ট আন্ডার স্কিন, ইঞ্জেকশন, প্যাচ, ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস এবং ভ্যাজাইনাল রিং।
advertisement
দুই ধরনের ওরাল বার্থ কন্ট্রোল পিল হয় - কম্বাইন্ড ওরাল কন্ট্রাসেপশন (এর মধ্যে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টিন উভয়ই থাকে) এবং প্রোজেস্টেরন-ওনলি পিল (কখনও কখনও একে মিনিপিলস বলা হয়)। ওভ্যুলেশনে বাধা দিয়ে এবং সার্ভাইক্যাল মিউকাস ঘন করে এটা ফার্টিলাইজেশন রোধ করে। ফলে ইমপ্ল্যান্টেশন হ্রাস হয়। কম্বাইন্ড হরমোনাল কন্ট্রাসেপ্টিভগুলি আবার শিরা এবং ধমনীর মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ঝুঁকির কারণে তা পরীক্ষা করানোর জন্য গাইনিকোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। প্রোজেস্টিন-ওনলি পিলগুলি হল ইঞ্জেকশন এবং ইন্ট্রাইউটেরাইন ডিভাইস। যা রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। স্তনদুগ্ধদানকারী মহিলাদেরই এটা দেওয়া হয়, কারণ এই পিলগুলি দুগ্ধ উৎপাদনের উপর প্রভাব ফেলে না। এর জেরে অবশ্য অনিয়মিত রক্তপাত হতে পারে।
আরও পড়ুন: এই ৪ উপাদানেই সুস্থ থাকবে লিভার! এই নিয়ম মানলে চিরকালের মতো বিদায় নেবে যকৃতের সমস্যা
ব্যারিয়ার কন্ট্রাসেপ্টিভ হল এমন ডিভাইস, যা শারীরিক ভাবে শুক্রাণুগুলিকে জরায়ুতে প্রবেশ করতে দেয় না। এর মধ্যে পড়ে পুরুষ-মহিলা কন্ডোম। এটা আবার যৌনবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
ইন্ট্রাইটেরাইন ডিভাইস বা আইইউডি হল ছোট্ট ডিভাইস। কখনও কখনও টি আকৃতির হয়। এর মধ্যে থাকে কপার অথবা প্রোজেস্টিন হরমোন। যা জরায়ুতে প্রবেশ করানো হয়। এটা পরিবর্তনযোগ্য। কারণ এই ডিভাইস সরিয়ে নেওয়া হলে ফার্টিলিটি আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপ্টিভ কৌশল হল ওষুধ কিংবা ডিভাইস। যা অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গমের পরে প্রেগনেন্সি প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য রেগুলার কন্ট্রাসেপশন ব্যর্থ হলেই এটা ব্যবহার করা হয়। ফলে এটাকে রুটিন কন্ট্রাসেপ্টিভ পিলের মতো ব্যবহার করা যাবে না। তবে এটা ব্যবহার করলেও প্রেগনেন্সির সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে কোন পদ্ধতিটা কার জন্য সঠিক, সেটা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করে নিতে হবে।