এ প্রসঙ্গে একটু অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজারের প্রসঙ্গও টেনে না আনলেই নয়! ৭০ শতাংশের বেশি অ্যালকোহল আছে, এমন স্যানিটাইজার যে কোভিড ১৯ ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে, সে কথা এত দিনে সবাই জেনে ফেলেছেন। কিন্তু কার্ডিফ ইউনিভার্সিটিতে কর্মরত এবং এই সমীক্ষার প্রধান ডক্টর নিক ক্লেডন মাউথওয়াশ নিয়ে যা দাবি তুলেছেন, তার সঙ্গে স্যানিটাইজার ব্যবহারের একটা তফাত আছে!
advertisement
ক্লেডন বলছেন যে মাউথওয়াশের মধ্যে থাকে cetypyridinium chloride। যাকে সংক্ষেপে CPC বলা হয়ে থাকে। এই যৌগই করোনাভাইরাস ধ্বংসে মুখ্য ভূমিকা নেয়। আমরা যখন মাউথওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করে থাকি, তখন তা লালার সঙ্গে মিশে থাকা অথবা কণ্ঠনালীতে থাকা করোনাভাইরাসকে মেরে ফেলে! বিশেষ পরিস্থিতিতে অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে এই যৌগ খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করেছে।
কিন্তু সমস্যা একটাই- মাউথওয়াশ তো আর আমাদের শ্বাসযন্ত্রে সরাসরি চলে যায় না। আর দেহের এই অংশটিতেই সর্বাপেক্ষা বেশি আঘাত হানে কোভিড ১৯-এর ভাইরাস। তাই কী ভাবে এই মাউথওয়াশ শ্বাসযন্ত্রে পাঠানো যায়, তা নিয়ে বিস্তৃত পরীক্ষার দাবিতে সরব হয়েছেন ক্লেডন।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টলে কর্মরত ডক্টর মার্টিন অ্যাডি করোনারোধে টুথপেস্টের উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে টুথপেস্টের অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উপাদান প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক পর্যন্ত জীবাণু সংক্রমণ ঠেকিয়ে রাখে। সে ক্ষেত্রে লালারসে জীবাণু থেকে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই আর থাকে না! এই মর্মে দিনে বেশ কয়েকবার সম্ভব না হলেও অন্তত দু'বার দাঁত মাজার পরামর্শ দিয়েছিলেন অ্যাডি!