প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক কী কী উপকার করতে পারে পেস্তা—
১. পেস্তা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। এটি হৃদযন্ত্রে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, এর লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সামগ্রিক ভাবে হৃদ-স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
২. পেস্তার গ্লাইসেমিক সূচক কম। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না এটি। বরং ফাইবার ও প্রোটিন শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
advertisement
আরও পড়ুন: পেয়ারা পাতার এত গুণ? ক্যানসার থেকে ডায়াবেটিস, কাছে ঘেঁষবে না এই সব মারণরোগ
৩. লুটেইন এবং জেক্সানথিন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৪. পেস্তায় থাকে ডায়েটারি ফাইবার। এটি হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫. পেস্তা ভিটামিন বি৬, থায়ামিন এবং ফসফরাসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজ।
আরও পড়ুন: সেই ৪ অক্টোবর, ১৯৬৮-তে তিস্তা-করলার ভয়ঙ্কর বন্যা আজও দগদগে, ৫০ বছর আগের স্মৃতি ফিরল জলপাইগুড়িতে
৬. ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পেস্তা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এতে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে।
কিন্তু অতিরিক্ত পেস্তা খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। কী কী সমস্যা হতে পারে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
১. ওজন বৃদ্ধি—
পেস্তায় ক্যালোরি বেশি। ফলে অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে।
২. হজমে সমস্যা—
একসঙ্গে অনেক পেস্তা খেয়ে ফেললে পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা হতে পারে। গ্যাস এমনকী ডায়েরিয়াও হতে পারে।
৩. উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম—
সাধারণত বাজারে যেসমস্ত পেস্তা কিনতে পাওয়া যায়, তাতে লবণ দেওয়া থাকে। সেই সব পেস্তা খুব বেশি খেলে অতিরিক্ত সোডিয়ামের উচ্চ রক্তচাপ ও অন্য সমস্যা হতে পারে বলে চিকিৎসকরা মনে করেন।
৪. অক্সলেট উপাদান—
পেস্তায় অক্সলেট যৌগ থাকে কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত পেস্তা খেলে সেই ঝুঁকি থেকেই যায়।
তাই পেস্তা খাওয়াক সময় একটা পরিমিতি বোধ রাখা জরুরি। সাধারণত এক মুঠো পেস্তা যা প্রায় ২৫ গ্রামের সমান, তা খাওয়া যেতে পারে। তার থেকে বেশি কোনও ভাবেই নয়।