করমচা খেলে মানসিক চাপ দূর হয়, ফুরফুরে হয় মেজাজও। এছাড়াও নানা গুণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা করমচা নিয়ে কি বলছে জানেন? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করমচা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রচণ্ড পরিমাণে উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন এবং ট্রিপটোফ্যানের সঙ্গে ম্যাগনেশিয়াম, যার উপস্থিতিতে নিউরোট্রান্সমিটার-সেরেটোনিন হরমোন নিঃসৃত হয়। যা মানুষকে মানসিকভাবে উৎফুল্ল এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই দুঃসংবাদ! গুলি করা খুন করা হল প্রাক্তন ক্রিকেটারকে
গবেষণা বলছে, ১০০ গ্রাম করমচায় রয়েছে ১৪ মিলিগ্রাম শর্করা, প্রোটিন ৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন ৪০, ভিটামিন সি ৩৮ মিলিগ্রাম, রাইবোফ্ল্যাভিন .১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .২ মিলিগ্রাম, আয়রন ১.৩ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম কপার.২ মিলিগ্রাম। এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, “করমচা প্রাচীন ভারতীয় ভেষজ পদ্ধতিতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় অম্ল, বদহজম এবং সংক্রামিত ক্ষত, চর্মরোগ, মূত্রনালীর ব্যাধি এবং ডায়াবেটিক আলসার, সেই সঙ্গে পিত্তথলি, পেট ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও রক্তাল্পতা, ত্বকের উন্নতির জন্যও করমচা ব্যবহার করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। এছাড়াও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মানব দেহে অনেক উপকারী। প্রত্যেকের করমচা নিয়মিত খাওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন: প্রসবের সময় মৃত্যু স্ত্রীর! সৎকার করে চিতাভস্ম থেকে যা পাওয়া গেল… শিউরে উঠবেন
করমচার চাষ সেই রকম ভাবে হয় না। সেই সঙ্গে করমচা নিয়ে মানুষের মধ্যে সে রকম সচেতনতাও না থাকার ফলে এই ফল অন্য কাজে ব্যবহার হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত তরকারিতে কিংবা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে করমচা খেতে বলছেন। তবে করমচা থেকে প্রচুর পরিমাণে নকল চেরি ফল তৈরি করছে বেশ কিছু ব্যবসায়ী। যার ফলে বাজারে করমচার জোগান একেবারেই কমে গিয়েছে।