আসলে রেটিনা হল চোখের পিছনের আস্তরণে থাকা একটি টিস্যু। যার সাহায্যে আলো আমাদের মস্তিষ্কের কাছে ব্যাখ্যাযোগ্য হয় এবং আমরা কোনও জিনিস দেখতে পাই। তাই রেটিনার যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। ডা. অঞ্জু ভর্মার দিলেন পাঁচটি টিপস—
advertisement
দৃষ্টিশক্তির মূল কথা
মানুষের চোখ যদি ক্যামেরা হয়, তবে রেটিনা হল ফিল্ম। দৃশ্যকে ধারণ করে এটি অপটিক নার্ভের মাধ্যমে মস্তিষ্কে পাঠায়। মাঝখানে সেই দৃশ্যের কিছু বদলও ঘটিয়ে নেয় নিজের মতো করে। রেটিনার ক্ষতির হলে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন- দুর্ঘটনা নাকি খুন? ফাঁস হয়ে গেল শ্রীদেবীর মৃত্যুর আসল কারণ! ভয়ঙ্কর সত্য সামনে আনলেন বনি কাপুর
সনাক্তকরণ
সাধারণত মানুষ রেটিনার রোগ সম্পর্কে সচেতন হন না। কারণ এগুলি প্রায় কোনও লক্ষণ ছাড়াই বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা এই রোগ সনাক্ত করতে পারে। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি এবং বয়সজনিত কারণে হওয়া ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের মতো অবস্থা যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে ততই ভাল।
জীবনচর্যার প্রভাব
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখতে পারলে রেটিনার স্বাস্থ্য অনেকটা ভাল রাখা সম্ভব। সঠিক পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলে রেটিনা রোগের ঝুঁকি কমে। সেক্ষেত্রে ধূমপান বন্ধ করা প্রয়োজন। ডায়াবেটিসের মতো রোগের কারণেও রেটিনার ক্ষতি হতে পারে।
আরও পড়ুন- অগ্নিসাক্ষী করে গোপনে কি বিয়ে সারলেন উরফি? কে এই ‘মিস্ট্রি ম্যান’? ছবি ভাইরাল হতেই তোলপাড়!
বাইরের ক্ষতি থেকে রক্ষা
সূর্যের UV রশ্মি চোখের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই একটা সানগ্লাস ব্যবহার করা ভাল। আঘাত থেকেও চোখ বাঁচিয়ে রাখতে হবে কারণ, ছোটখাটো আঘাতও রেটিনায় বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন হয় যত শীঘ্র সম্ভব।
সচেতনতা প্রয়োজন
দৃষ্টিতে কোনও আকস্মিক পরিবর্তন, হঠাৎ চোখে আলোর ঝলকানি বা সব সময় কিছু ভেসে বেড়াতে দেখলে তা কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়। এগুলি রেটিনার রোগের লক্ষণ হতে পারে। নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখার মধ্যে দিয়ে চোখকে সুরক্ষিত রাখা যেতে পারে।