এর ভেতরের কাহিনী শুনলে চমকে যাবেন। জানেন এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? হলুদ মূলত দক্ষিণ ভারতে চাষ হয়। চাষিদের বক্তব্য অনুযায়ী, হলুদ যখন মাঠ থেকে তোলা হয়, সে সময় হলুদের বর্ণ কালচে ধরনের হয়।যার ফলে হলুদের আকর্ষণীয়তা খরিদ্দারদের কাছে থাকে না। ওই হলুদ চাষিদের কাছ থেকে ব্যাপারীরা কিনে নিয়ে যায়। তারপরে সেখানেই সেই গোটা হলুদকে উপরটা আমরা যেরকম ভাবে দেখি, সেই রকম হলদে রংয়ের তৈরি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক শুরু হবে কোন সময়? বড় সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্ট! লাখ-লাখ পরীক্ষার্থীর জন্য বিরাট খবর
কীভাবে? বাজারে গেলে জানতে পারবেন হলুদ সিঙ্গল পালিশ, ডবল পালিশ- বলে বিক্রি হয়। যে কোম্পানির হলুদ ডবল পালিশ, সেটা মসৃণ এবং বেশি চকচকে হয়। যেটা সিঙ্গল পালিশ করা, সেগুলো অতটা চকচকে নয়।এর উপরেও সব থেকে বড় বিষয় হল, গোটা হলুদকে নিয়ম অনুযায়ী মুলতানি মাটি মাখিয়ে বাজার জাত করার কথা।
আরও পড়ুন: বাংলার গর্ব! ভারতীয় ডাক বিভাগের স্পেশ্যাল কভারে জায়গা পেল এই মহিলা কলেজ! কী কারণে জানেন?
কিন্তু দেখা যায় হলুদে কৃত্রিম গুঁড়ো হলুদ রং মাখিয়ে বাজারে পাঠানো হচ্ছে। যার ফলে গোটা হলুদ হাতে দিলেই, হাত হলুদ রঙের হয়ে যায়। সেটা জল দিয়ে ধুলেও সহজে ওঠে না। এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘গোটা হলুদ বাজার জাত করবার সময় ময়েশ্চারাইজার রোধ করবার জন্য এলা মাটি বা এলা মাটির গুঁড়ো মাখানোর কথা। কিন্তু এই ধরনের রং ব্যবহার করলে আদতে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে। তবে যারাই গোটা হলুদ বাড়িতে নিয়ে বেটে খাচ্ছেন কিংবা গুঁড়ো করছেন তাদের উচিত, হলুদ আগে ভাল করে জলে ডুবিয়ে রেখে ধুয়ে নেওয়া। তারপরে সেটাকে গুঁড়ো করা উচিত। এতে অনেকটাই ঝুঁকি কমে যায়।’