অ্যালোভেরা এবং গ্রিন টি ভিত্তিক চুলের তেল: চুল শুষ্ক হোক কিংবা খুশকি, মা-ঠাকুমারা বলতেন, তেল লাগাও তাহলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এই পরামর্শ একেবারে যথার্থ। চুলের যত্নের রুটিনে অ্যালোভেরা এবং গ্রিন টি ভিত্তিক চুলের তেল লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। সপ্তাহে দু'বার শ্যাম্পুর আগে এই তেল লাগালে চুল গোড়া থেকে মজবুত হবে। চুল ভাঙাও রোধ হবে।
advertisement
নিয়ম করে সপ্তাহে একবার মালিশ: সপ্তাহে একবার নিয়ম করে ১৫ মিনিটের মালিশ। এটা চুলের ওষুধের মতো। একেবারে স্পা-এর কাজ করবে। মাথার ত্বকের জন্যও মালিশ দুর্দান্ত। চুলের ক্ষতি মেরামত করার সেরা উপায়গুলির মধ্যে এটা একটা। তেল দিয়ে মালিশ রক্ত সঞ্চালন এবং চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করে।
ভারি জল ব্যবহার নয়: বর্ষাকালে জলের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। ভারি জলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পদার্থ থাকে যা চুলের উপর একটি স্তর তৈরি করে এবং আর্দ্রতা প্রবেশ করা থেকে বাধা দেয়। শেষ পর্যন্ত এটা চুলের ক্ষতি করে। তা ছাড়া ভারি জলে চুল শুষ্ক হয় এবং কুঁচকে যায়। তাই ফিল্টার ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল।
আরও পড়ুন- পাতে তেজপাতা পড়লে ফেলে দেন, না করাই ভাল, কেন জানলে অবাক হবেন!
সবচেয়ে ভাল তোয়ালে দিয়ে চুল শুকোনো: চুলে ব্লো ড্রাই ব্যবহার না করাই ভাল। এটা চুলকে আরও শুষ্ক এবং ঝরঝরে করে দেয়। স্নান বা শ্যাম্পু করার পর মাইক্রো ফাইবার তোয়ালে দিয়ে চুল শুকনো করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভেজা চুল আলতো ভাবে চেপে মুছে নিতে হবে। তারপর পাগড়ির মতো তোয়ালে জড়িয়ে রাখতে হবে। তাহলেই চুল ভাল থাকবে।
সঠিক চিরুনি: চুলে জট পড়লে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নেওয়াটাই দস্তুর। কিন্তু সঠিক চিরুনি ব্যবহার করতে হবে। নাহলেই চুলের বারোটা বাজবে। এ ক্ষেত্রে জেড চিরুনি, কাঠের চিরুনি বা চওড়া-দাঁতের চিরুনি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। ভেজা চুল অত্যন্ত ভঙ্গুর। তাই স্নানের পর চুল না শুকিয়ে আঁচড়ানো উচিত নয়। এটাও মাথায় রাখতে হবে।