কলকাতার এক পাঁচ তারা হোটেলে বসেছিল এই অনুষ্ঠানের আসর। ফেম ফ্যাশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ এক্সেলেন্স হল পূর্ব ভারতের সবথেকে জনপ্রিয় ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্র্যান্ড। যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে। আসলে তরুণ উঠতি অভিনেতা-অভিনেত্রী, মডেল, ফ্যাশন ফটোগ্রাফার, ডিজাইনার, মেক-আপ আর্টিস্ট এবং অন্যান্যদের একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম দিচ্ছে এই ব্র্যান্ড। এর জন্য ছয় মাসের কঠোর পরিশ্রম এবং ট্রেনিং করেছেন প্রতিযোগীরা। নতুন ক্যালেন্ডার ফেস ২০২৩-এ মুখ দেখানোর সুযোগ এসেছে তাঁদের সামনে।
advertisement
এখানেই শেষ নয়, সব থেকে বড় চমক রয়েছে FFACE ক্যালেন্ডার ২০২৩-এ। কারণ নিজের নতুন সুপারফিট অবতারে ওই ক্যালেন্ডারের কভার ফেস হয়েছেন টলিউডের হ্যান্ডসাম অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। আর এটাই প্রথম বার, যেখানে কোনও এক জন পুরুষ ফ্যাশন তারকা ফেস ক্যালেন্ডারের কভারে স্থান পেয়েছেন।
আরও পড়ুন- বন্দির গানে ভেসে গেল সংশোধনাগার, ভিডিও ভাইরাল হতেই মদ্যপের জন্য আসছে বলিউডি অফার!
এই বছরের অডিশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৫০ জনেরও বেশি কন্টেস্ট্যান্ট। তবে ফাইনাল অডিশনে প্রতিযোগী সংখ্যা কমে নেমে আসে ৫০-এ। এই ফাইনাল রাউন্ডের অডিশনে সিলেক্ট হওয়া প্রতিযোগীদের ছয় মাসের ট্রেনিং এবং গ্রুমিং সেশন হয়েছে। এই প্রতিযোগীদের তৈরি করতে বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার, ফিটনেস এক্সপার্ট, গ্রুমিং এক্সপার্ট, হেয়ার অ্যান্ড স্কিন এক্সপার্টরাও এই ছয় মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গিয়েছেন। যাতে প্রতিযোগীদের মধ্যে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো কিংবা ব়্যাম্পে হাঁটা, এমনকী মিডিয়ার সম্মুখীন হওয়ার মতো আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। আর এই প্রতিযোগিতার কারণেই এক ঝাঁক প্রতিভা চাক্ষুষ করার সুযোগ পেলেন শহরবাসীরা।
FFACE ২০২৩-এর ফাইনালিস্ট তালিকায় ছিলেন শুভস্মিতা জানা, মেঘমালা মাইতি, বাসবদত্তা মণ্ডল, কস্তুরী ঘোষ, এস. পূর্ণিমা, ঋত্বিকা দে, সীমান্তিকা, বর্ণালী বাগ, রাহুল বেরা, স্নেহা দে, ঐশ্বর্য দত্ত, মহম্মদ ফারাজ, রোনাল্ড রায়, মনজিৎ শর্মা, রাজ কিশোর সেন, তিশিকা দে, অবন্তী দাস, ভাস্কর, রাজ্যশ্রী, সুলক্ষণা, রনক মজুমদার, নীলাদ্রি, প্রসূন এবং সহেলি।
বিক্রম চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে ক্যালেন্ডার প্রকাশ করলেন FFACE-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ডিরেক্টর নীল রায়, ডিরেক্টর ফ্যাশন ডিজাইনার ইন্দ্রনীল মুখোপাধ্যায়, ডিরেক্টর ফটোগ্রাফি কৌস্তভ সাইকিয়া, মার্কেটিং কনসালট্যান্ট এবং ডিরেক্টর ক্যান্ডিড কমিউনিকেশন পারমিতা ঘোষ, ডিরেক্টর মার্কেটিং অভিনেত্রী ফলক রশিদ রায় এবং ইভেন্ট কনসালট্যান্ট রণদীপ বসু। এর পাশাপাশি এই গ্র্যান্ড ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক তারকাও।
FFACE-এর ডিরেক্টর নীল রায় জানান, “কোভিডের জন্য দু’বছর অনলাইনে এই ক্যালেন্ডার লঞ্চ করতে হয়েছিল ৷ তাই পাবলিক প্ল্যাটফর্মে আবার ফিরে আসতে পেরে আমরা খুশি ৷ এ বছর ১২-র বদলে আমরা ২৪ জনকে লঞ্চ করেছি ৷ এ বছরই প্রথমবার কোনও পুরুষ সেলেব্রিটি আমাদের ক্যালেন্ডারের কভার ফেস ৷ এবারের থিমও স্যুইমওয়্যার ৷ আমরা ২০১৬ সালে একবার করেছিলাম ৷ আরও একবার এই থিমে ক্যালেন্ডার লঞ্চ করলাম ৷ আমাদের প্রডাকশনের ছবি ‘অগ্নিমন্থন’ রিলিজ হচ্ছে ৷ যেখানে গত বারের কন্টেস্ট্যান্টরা অভিনয় করেছেন ৷ তাই ফেস প্ল্যাটফর্ম অবশ্যই নতুন ট্যালেন্টদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সবসময়ে তৈরি ৷ আমাদের আরও ছবি, ওয়েব সিরিজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ৷ যেখানে আমরা আমাদের নিজস্ব ট্যালেন্টদের সুযোগ করে দিতে পারি ৷’’