অন্দরসজ্জাতেও থাকুক হলুদ ছোঁয়া:
সরস্বতী পুজো মানেই তো হলুদ রঙ। তাই পর্দা, টেবিল কভার, সোফার কভার, বিছানার চাদর সব কিছুতেই থাকা উচিত হলুদ কিংবা উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া। এই সময় দরজা-জানলায় হলুদ আর অফ-হোয়াইট রঙের এথনিক মোটিফ প্রিন্টেড পর্দা ঝোলানো যেতে পারে। বিছানায় পাতা যেতে পারে সাদা রঙের চাদর। বালিশ কিংবা কুশনে ব্যবহার করা যেতে পারে সাদা অথবা হলুদ রঙের কভার। আর নজর কাড়তে চাইলে বালিশ কিংবা কুশনের কভারে ফুটিয়ে তোলা যেতে পারে আগুনরঙা পলাশ ফুলের মোটিফ।
advertisement
আরও পড়ুন - কাড়ি কাড়ি ওষুধ ফেল! হাজার চেষ্টাতেও ব্লাড সুগার কন্ট্রোল হয় না, চমকপ্রদ 'ফল' দেবে এই 'ফুল'!
পুজোর জায়গা:
যেখানে প্রতিমা বসানো হবে, সেই জায়গাটা ভাল করে পরিষ্কার করে ফুটিয়ে তুলতে হবে সাবেকি কলকার সাদা আলপনা। ঠাকুর বসানোর বেদিটাও সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে হবে আলপনায়। চারপাশটা সাজিয়ে নিতে হবে হলুদ কিংবা কমলা গাঁদার মালা দিয়ে। আজকাল বাজারে কৃত্রিম গাঁদা ফুলের মালাও পাওয়া যাচ্ছে, যা দেখতে অবিকল সত্যিকারের গাঁদা ফুলের মতোই। প্রতিমার বেদির দুই পাশে মাটির বড় দুটো কলসী রাখা যেতে পারে। আর তাতে ফুটিয়ে তুলতে হবে একই রকম আলপনা। কলসের উপর জড়িয়ে নিতে হবে হলুদ রঙের গাঁদা ফুলের মালা। আর কলসের মধ্যে রেখে দিতে হবে সাদা রঙের চন্দ্রমল্লিকা। শুধু তা-ই নয়, রাখা যেতে পারে শোলার ফুলও। উপর থেকে ঝোলানো যেতে পারে ঝাড়বাতির মতো শোলার তৈরি গৃহসজ্জা-সামগ্রীও। এমনকী শোলার সামগ্রী দিয়েও সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে পুজোর জায়গাটা। কারণ গৃহসজ্জায় শোলার তৈরি সামগ্রী যেন একটা আলাদাই মাত্রা যোগ করে।
ঝুলবারান্দাতেও পুজোর ছোঁয়া:
ব্যালকনিটা যদি না-সাজানো হয়, তা-হলে বোঝা যাবে কী করে যে, পুজোর বাড়ি। তাই ব্যালকনির সিলিং থেকে ঝোলানো যেতে পারে সাদা আর হলুদ শোলার ছোট-বড় নানা মাপের ফুল। আর হলুদ গাঁদার মালার সঙ্গে হলুদ ছোট ছোট আলোর মালা সুন্দর করে জড়িয়ে নিয়ে বারান্দার রেলিংটা সাজিয়ে দেওয়া যেতে পারে। আর বারান্দার মেঝেতে এঁকে নেওয়া যেতে পারে সুন্দর আলপনা। তার উপর মাটির টব সাজিয়ে রাখা যেতে পারে কিছু ইন্ডোর প্ল্যান্টও।