হিমায়িত খাবারের নাম শুনলেই অনেকে নাক কুঁচকোন। কারণ হিমায়িত মানে, কৃত্রিম উপায়ে খাবারকে তাজা রাখার পদ্ধতি। অর্থাৎ যা প্রাকৃতিক নয়। এই কারণে অনেকেই হিমায়িত খাদ্য এড়িয়ে যান। কিন্তু বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তাজা মটরের তুলনায় হিমায়িত মটর আরও বেশি উপকারী। কারণ হিমায়িত অবস্থাতেও এটা যথাযথ পুষ্টিগুণ বজায় রাখে। কীভাবে ? দেখে নেওয়া যাক।
advertisement
আরও পড়ুন-রাশিফল ২৪ জুন; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
স্থায়িত্ব: তাজা মটরশুঁটি ছাড়ানোর পরেই খেয়ে নিতে বা রান্না করে ফেলতে হয়। কিন্তু হিমায়িত মটরের স্থায়িত্ব আরও বেশি। যথাযথ তাপমাত্রায় ঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে হিমায়িত মটর এক বছর পর্যন্ত ভাল থাকতে পারে। এর জন্য অবশ্য প্রাথমিক পর্যায়েই সংরক্ষণ জরুরী। তাহলেই মটরের স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।
সুবিধা: বসে বসে মটরশুঁটি ছাড়ানো একটা বিরক্তিকর কাজ। শুধু তাই নয়। সময়সাপেক্ষও। যদি কারও রান্নার তাড়া থাকে তাহলে মটরশুঁটি ছাড়িয়ে সেটাকে গ্যাসে বসাতে বসাতে রাত কাবার। এই পরিস্থিতিতে মুশকিল আসান হিমায়িত মটর। ছাড়ানোর ঝামেলা নেই। আগে থেকেই প্রস্তুত। তাই কেউ সহজেই বাজার থেকে এক প্যাকেট হিমায়িত মটর কিনে যখন খুশি ব্যবহার করতে পারেন।
আরও পড়ুন-সুস্বাদু এই তরকারি হয় ঘরে ঘরে! পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যের জন্য এটাই কি বিষ?
স্বাদ: প্রাথমিক পর্যায়েই হিমায়িত করার জন্য মটরশুঁটির মিষ্টি স্বাদ এবং টেক্সচার বজায় থাকে। কিন্তু তাজা মটরশুঁটি একদিন হয়ে গেলেই দানা দানা ভাব চলে আসে। আদতে তাজা মটরশুঁটির সঙ্গে এর স্বাদে কোনও পার্থক্য নেই। তবে এরপরেও অনেকে কিছুটা ফারাক অনুভব করতে পারেন, সেটা মূলত মনস্তাত্বিক কারণে।
পুষ্টিগুণ: তাজা মটরশুঁটি ছাড়ানোর একদিনের মধ্যে পুষ্টিগুণ অর্ধেক হয়ে যায়। সেখানে হিমায়িত মটরশুঁটিতে সমস্ত পুষ্টিগুণ অক্ষত থাকে। প্রাথমিক পর্যায়ে সেগুলিকে হিমায়িত করাই এর মূল কারণ। মটর বাছার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হিমায়িত করাই পুষ্টি অক্ষত রাখার সর্বোত্তম উপায়।