সুহুর বা সেহেরি:
১. সেহেরি যেহেতু দিন শুরু করার প্রথম খাবার, তাই এতে প্রচুর পরিমাণে শস্যজাতীয় খাবার খেতে হবে এবং সহজপাচ্য ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত তেল, ঝাল, চর্বিজাতীয় খাবার ত্যাগ করতে হবে। অনেকে ভাবেন যে যেহেতু সারা দিন না খেয়ে থাকতে হবে, তাই সেহেরির সময়ে প্রচুর খেতে হবে। কিন্তু এই ধারণা একদম স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সেহেরিতে ভাতের সঙ্গে মিশ্র সবজি, মাছ অথবা মাংস খেতে পারেন। হালকা চিঁড়ের সঙ্গে দইও খুবই উপকারী। এটি একটি স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এতে জলের তৃষ্ণা মেটে সহজেই। এছাড়া দুধে ভেজানো প্রোটিনসমৃদ্ধ এক বাটি ওটমিল শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী। স্বাদ বাড়াতে এতে পছন্দসই বাদাম বা ফলের টুকরো যুক্ত করতে পারেন। এক বাটি দই ক্যালসিয়াম, আয়োডিন এবং ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি আপনাকে সারা দিন না খেয়ে চলতে সাহায্য করবে।
advertisement
২. সারাদিন হাইড্রেটেড থাকার জন্য তরমুজ, স্ট্রবেরি, পীচ, কমলা, টমেটো, শসা, লেটুস, পালং শাক এবং অন্যান্য তাজা ফল এবং শাকসবজি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে।
৩. এক গ্লাস দুধের সঙ্গে বাদাম, আখরোট, চিনাবাদাম খেতে পারেন। এতে শরীরে প্রচুর শক্তি সঞ্চয় হবে।
ইফতার:
ইফতার হল দিনের দ্বিতীয় খাবার, এটি হারিয়ে যাওয়া শক্তি পুনরায় পূরণ করার জন্য সারাদিনের উপবাসের পরে খাওয়া হয়। চিরাচরিত ভাবে এতে মানুষ খেজুর ফলের সঙ্গে রোজা ভঙ্গ করে। এর পরে স্যুপ, বিরিয়ানি, হালিম, কাবাব এবং আরও অনেক কিছু খাবার গ্রহণ করে। ইফতারে রুটি, ব্রাউন রাইস, মাংস, মাছ, ডিম, ফলমূল এবং কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারগুলি খেতে হবে। তবে বেশি পরিমাণে নোনতা, মশলাদার বা তেলে ভাজা খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকাই শরীরের জন্য শ্রেয়। এছাড়া তরল-জাতীয় খাবার অবশ্যই খেতে হবে।
