শীতকালকে সুপারফুডের মরসুমও বলা হয়ে থাকে কারণ এই সময় বাজারে বিভিন্ন ধরণের শাক সবজি , ফল পাওয়া যায় যা আপনার ইমমুনিটিকে বাড়াতে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরের সুস্থতাকে বজায় রাখে। ভালো পুষ্টিযুক্ত খাবার আপনাকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জগতেও অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকে।
advertisement
বাইরে শৈত্য প্রবাহ, ঘরে ঠান্ডার প্রকোপ ,এই সময় ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক। তাই শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে এবং সংক্রমণ এড়াতে আপনার ডায়েটে এই ৭টি খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন। নিজের এবং নিজের পরিবারের যত্ন আপনার হাতে।
পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা তার সাম্প্রতিক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছেন "এই ঠান্ডা এবং ফ্লুয়ের ঋতুতে আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্য কি ? প্রথমেই যেটা আসে সেটা হল চেষ্টা করা যাতে আমরা অসুস্থ না হয়ে পড়ি কারণ প্রতিরোধই নিজেকে রক্ষা করার সর্বোত্তম উপায়। ভাল পুষ্টি - ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুমের পাশাপাশি - আপনার শরীরকে ফিট রাখার এবং জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার চাবিকাঠি। "
তিনি এমন কিছু খাবারের তালিকাও দিয়েছেন যা আপনি এই ঋতুতে ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধ করতে নিজের প্রতিদিনের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
রসুন :
রসুন প্রায় সব ধরণের রোগ প্রতিরোধে খুব বড় সহায়ক। রসুনে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ যা আমাদের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
হলুদ দুধ :
বহুযুগ ধরেই এই হলুদ দুধ খাওয়ার প্রথা চলে আসছে আমাদের দেশে বিশেষ করে শীতের মরসুমে। সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত এই গোল্ডেন মিল্ক ভারতের বেশিরভাগ বাড়িতেই খুবই প্রচলিত । এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। আপনি তাত্ক্ষণিক ফল পেতে দুধে কালো মরিচ যোগ করতে পারেন।
তুলসী :
আমাদের দেশে ঐতিহ্যগতভাবে তুলসীর ব্যবহার চিরকালের। তুলসী পবিত্রতার প্রতীক এবং বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্যে তুলসী ব্যবহৃত হয়। শীতের মরসুমে সর্দি কাশি থেকে রেহাই দিতে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। তুলসি প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসাবে কাজ করে এবং সংক্রমণকে দূরে রাখে।
কাজুবাদাম :
শীতকালে আমাদের ইমিউনিটি হ্রাস পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই এই সময় আপনার ডায়েটে বাদাম অবশ্যই যোগ করুন। বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এগুলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে জিঙ্ক এবং মিনারেল যা সর্দি এবং কাশির সময় উপকারী।
আমলা :
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ আমলাতে রয়েছে চমৎকার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। ইমিউনিটি বৃদ্ধিকারী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি প্রতিটি ঘরে ঘরে সুপরিচিত। আমলা নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করে এবং ম্যাক্রোফেজ ও ইমিউন সিস্টেমের অন্যান্য কোষগুলির ভালভাবে কাজ করতে সাহায্য করে বলে আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।